Results for নদনদী

কাকড়া নদীর নামকরণ ইতিহাস

November 24, 2018
কাঁকড়া নদী বা আত্রাই নদী (দিনাজপুর) বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দিনাজপুর জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৩০ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৯৬ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার।

নামকরণ ঃ এ নদীর নামকরণ নিয়ে দুটি মতবাদ আছে। কেউ কেউ মনে করেন জলজ প্রাণী কাঁকড়ার নামে নদীটির নামকরণ হয়েছে। আবার মনে করা হয় একসময় নদীটি জলের সাথে কাঁকর বয়ে আনত। এই শব্দটিই কালক্রমে কাঁকর+ইয়া>কাঁকরিয়া এবং এর অপভ্রংশ থেকেই পরবর্তীকালে এ নদীর নাম কাঁকড়া হয়েছে।

প্রবাহ পথ ঃ কাঁকড়া নদী বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার আত্রাই নদী থেকে বের হয়ে একই উপজেলায় পুনরায় আত্রাই নদীতে মিলিত হয়েছে।
কাকড়া নদীর নামকরণ ইতিহাস কাকড়া নদীর নামকরণ ইতিহাস Reviewed by sm sohage on November 24, 2018 Rating: 5

আউলিয়াখানা নদীর নামকরণ ও বিবরণ

July 19, 2018
নীলফামারী অঞ্চলে আউলিয়াখানা একটি বিখ্যাত নদী। এ নদীকে নিয়ে রয়েছে বহু কিংবদন্তী এবং মানুষের সুখ-দুঃখের কাহিনি। বাংলাদেশের অধিকাংশ নদীর নাম ভারতীয় পুরাণ ও হিন্দু দেবদেবীদের নাম হতে গৃহীত।মুসলিম নাম হতে নামায়িত বাংলাদেশের নদীসমূহের মধ্যে ‘আউলিয়াখানা’ অন্যতম। নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলায়  উৎপন্ন হয়ে, নদীটি একই জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার ঘাঘট নদীতে মিলিত হয়েছে। কথিত হয়, জলঢাকা উপজেলায় নদীটির প্রবেশমুখে ত্রয়োদশ শতকের প্রারম্ভে  আরব দেশে হতে আগত একজন আউলিয়া একটি খানা বা আস্তানা বা বাড়ি গড়ে তুলেছিলেন। একবার প্রবল বন্যায় সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়। লোকজন আউলিয়ার কাছে সাহায্য চাইতে গেলে তিনি নদীকে বলেন : এখানে আমার খানা, তুমি এদিকে এস না। নদীর জল তখন শান্ত হয়ে যায় এবং আউলিয়া সাহেবের খানা বা বাড়ি ও সংলগ্ন গ্রাম বন্যা হতে রক্ষা পায়। এরপর হতে নদীটির নাম হয় আউলিয়াখানা। আবার অনেকের মতে, আউলিয়া সাহেবের খানায় প্রতিদিন বহুলোক খানা বা খাদ্য খেতেন। যার অধিকাংশ এ নদী হতে কিংবা এ নদী পথ দিয়ে আসত। নদীর পাশে আউলিয়ার খানা ছিল তাই নদীটির নাম হয় আউলিয়াখানা।
সূত্র : বাংলাদেশের জেলা উপজেলা ও নদ নদীর নামকরণের ইতিহাস, মোহাম্মদ আমীন

আউলিয়াখানা নদীর নামকরণ ও বিবরণ আউলিয়াখানা নদীর নামকরণ ও বিবরণ Reviewed by sm sohage on July 19, 2018 Rating: 5

আঠারোবাঁকি নদীর নামকরণ ও বিবরণ

July 19, 2018


আঠারোবাঁকি নদী বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের খুলনা  নড়াইল জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত একটি নদী 
আঠারো  বাঁক শব্দের মিলনে আঠারোবাঁকি নামের উদ্ভব।  মধুমতি বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত নদী।   নদী  নড়াইল  গোপালগঞ্জ জেলাকে বিচ্ছিন্ন করে অবিচ্ছিন্ন করেছে জলের টানেপলির প্রাণে আর কৃষকের গানে।  মধুমতি নদী কালিয়া উপজেলার দক্ষিণ-পূর্বসীমান্তে সিংগাতি গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত।   গ্রামের দক্ষিণ দিকে একটি শাখা নদী প্রবাহিত। এর নাম আঠারোবাঁকি নদী।  আঠারোটি বাঁকে নদীটি প্রবাহিত হয়।  তাই এর নাম আঠারোবাঁকি নদী।  আসলে বাঁক প্রকৃতপক্ষে আঠারো নাকি তার বেশি বা কম সেটি বড় কথা নয়।  তৎকালে নদীটির পরিচিত আঠারোটি বাঁক ছিল।  আলাইপুর  নদীর তীরে অবস্থিত একটি প্রসিদ্ধ স্থান। আলাউদ্দিন হুসেন শাহের বাল্যজীবন আলাইপুরে কেটেছে।   গ্রামের কাজীবাড়ি ছিল তার শ্বশুর বাড়ি।
সূত্র : বাংলাদেশের নদনদীর নামকরণ, . মোহাম্মদ আমীন,

আঠারোবাঁকি নদীর নামকরণ ও বিবরণ আঠারোবাঁকি নদীর নামকরণ ও বিবরণ Reviewed by sm sohage on July 19, 2018 Rating: 5

আতাই নদীর নামকরণ ও বিবরণ

July 19, 2018

যার নাই ঠাই তাকে বলে আঠাই।  মূলত আঠাই শব্দের স্থানীয় বিকৃতরূপ আতাই।  আতাই নদী নড়াইল জেলার বড়দিয়া থেকে খুলনা শহেরর নিকট এসে ভৈরব নদীতে মিলিত হয়েছে খুলনার তেরখাদা  দিঘলিয়া উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত  আতাই নদী অত্যন্ত  জলোচ্ছাস প্রবণ।  এক সময় নদীটি ছিল অত্যন্ত গভীর ছিল।  খুলনা  যশোর অঞ্চলে ছোট নদীর মধ্যে এত গভীর আর কোনো নদী ছিল না।  নদী এত গভীর ছিল যেকেউ কেউ ঠাই পেতোনা।  লম্বা বাঁশ দিয়েও মাঝিমাল্লা  জেলেরা অনেক সময় এর তলার হদিস পেত না।  
তাই নাম হয় আঠাইআতাই। 

আতাই নদীর নামকরণ ও বিবরণ আতাই নদীর নামকরণ ও বিবরণ Reviewed by sm sohage on July 19, 2018 Rating: 5

আড়িয়াল খাঁ নদ এর নামকরণ ও বিবরণ

July 19, 2018

আড়িয়াল খাঁ নদ


এটি পদ্মা নদীর একটি প্রধান শাখা উনিশ শতকের শেষ দিকে আড়িয়াল খাঁ ছিল প্রধান ধারা।বর্তমানে এর শেষ প্রান্ত পলি ভরাট হয়ে মাদারিপুরের কাছে আড়িয়াল খাঁ দুটি শাখায় বিভক্ত হয়েছে বাঁ দিকের প্রবাহিত অংশ আড়িয়াল খাঁ। আর ডান দিকে টরকি নামে প্রবাহিত হচ্ছে।১৮০১ খ্রিস্টাব্দে ঠগি দমনের লক্ষ্যে সরকার, আড়িয়াল খাঁ নামক এক জমাদার নিয়োগ করেন।তিনি যোগাযোগের সুবিধার্থে ভুবনেশ্বর নদ হতে একটি খাল খনন করে প্রাচীন পদ্মার দক্ষিণাংশের সাথে যুক্ত করে দেন। এ খালটি কালের পরিক্রমায় জলপ্রবাহের কারণে প্রবলরূপ ধারণ করে। তাই তার নামানুসারে এর নাম হয় আড়িয়াল খাঁ নদ। আড়িয়াল খাঁ গতিপথে নড়িয়ার খাল, পালং খাল, ভুবনেশ্বর, ময়নাকাটা, কুমার, কাইলা, নয়াভাঙনী প্রভৃতি নদ- নদীর মাধ্যমে পদ্মা নদীর সাথে সংযোগ রক্ষা করে চলেছে। বর্তমানে সমুদ্রগামী পদ্মার শাখাগুলোর মধ্যে মধুমতী ও আড়িয়াল খাঁ নদ দুটি প্রধান। পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ ঘাট থেকে প্রায় ৫১.৫ কিমি দক্ষিণ-পূর্বের পদ্মা থেকে এই শাখা নদ (আড়িয়াল খাঁ) প্রবাহিত হয়ে ফরিদপুরও মাদারিপুর জেলার মধ্য দিয়ে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পূর্বভাগ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে তেতুলিয়া চ্যানেলে ঢুকেছে। নদের গতিপথ প্রায়ই আঁকাবাঁকা। নদটি ভাঙনপ্রবণ। এর ফলে অনেকজনপদ এর গর্ভে বিলীন হয়েছে। এই নদীর তীরবর্তী উল্লেখযোগ্য স্থানগুলো হলো পিঁয়াজখালী, চৌধুরীহাট, উৎরাইল, দত্তপাড়া, কবিরাজপুর, লতিখোলা, ছবিপুর, মাদারিপুর পৌরসভা, ঘসেরহাট বন্দর। আড়িয়াল খাঁ নদটি সারা বছর নাব্য। মার্চ-এপ্রিলে পানির প্রবাহ কম থকে।তবে বর্ষাকালে পানি প্রবাহ বেশি থাকে। তখন জুলাই-আগস্ট মাসে প্রবাহের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪হাজার ঘনমিটার/সেকেন্ড। এ সময় নদে পানির গভীরতা ১২ মিটার পর্যন্ত থাকে। নদটির মোটদৈর্ঘ্য ১৬৩ কিমি। মাদারীপুর পর্যন্ত স্বাভাবিক জোয়ার-ভাটার পরিসর ০.৩২ মিটার। প্রস্থ ৩০০মিটার। নদটির অববাহিকার আয়তন ১৪৩৮ বর্গ কিমি।

আড়িয়াল খাঁ নদ এর নামকরণ ও বিবরণ আড়িয়াল খাঁ নদ এর নামকরণ ও বিবরণ Reviewed by sm sohage on July 19, 2018 Rating: 5

আমন দামন নদীর নামকরণ ও বিবরণ

July 19, 2018

আমন  দমন হতে আমনদামন নামের উদ্ভব। দমন মানে দমন করাব্যাহত করাক্ষতি করা।জোয়ারভাটার প্রভাব-বিমুক্ত আমনদামন নদী (Amondamon River) ঠাকুরগাও জেলার বালিয়াডাঙ্গি উপজেলা ও আশপাশের এলাকার একটি বহুল পরিচিত নদী। নদীটির প্রবাহিতপথের দৈর্ঘ্য ১১ কিলোমিটারপ্রস্থ ৭০ মিটার এবং গভীরতা . মিটার। নদী অববাহিকারআয়তন ৩৩ বর্গকিলোমিটার ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গি উপজেলারর বেলহারা বিল হতেনদীটি  উৎপত্তি লাভ করে এই উপজেলাতেই নাগর নদে  পতিত হয়েছে। নদীর প্রবাহ পথতেমন দীর্ঘ নয় কিন্তু প্রতিক্রিয়া ছিল ব্যাপক। একবার  নদীর অসময়  প্রবল বন্যায় নদীসংলগ্ন পুরো এলাকার আমন চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রায়শ নদীটি আমন চাষকে দমনকরত বা ব্যাহত করত। আমন চাষকে দমন করেছিল বলে নদীটির  নাম হয় আমনদামন।নদীটির পানিপ্রবাহ মৌসুমি প্রকৃতির। মার্চ-এপ্রিল মাসে পানিপ্রবাহ থাকে না। বর্ষার মৌসুমেআগস্ট মাসে বেশি পানিপ্রবাহ থাকে। তখন আমনদামন নদীতে পানিপ্রবাহের মাত্রা হয় ঘনমিটার/সেকেন্ড এবং নদীর পানির গভীরতা হয় . মিটার।

আমন দামন নদীর নামকরণ ও বিবরণ আমন দামন নদীর নামকরণ ও বিবরণ Reviewed by sm sohage on July 19, 2018 Rating: 5
Powered by Blogger.