Results for ফুল ও ফল এর নামকরণ

আমের নামকরণ তথ্য

February 18, 2019

নামকরণঃ প্রাচীনকালে আমের কদর আর গুরুত্ব বোঝাতে সংস্কৃতে এর নামকরণ করা হয় আম, যার অর্থ মজুদ খাদ্য বা রসদ। আম ইংরেজি ও স্প্যানিশ ভাষাভাষী দেশগুলিতে mango নামে পরিচিত। mango নামটির উৎপত্তি তামিল ম্যান-কি অথবা ম্যান-গে থেকে। পর্তুগিজরা ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে বসতি স্থাপনের সময় এটিকে গ্রহণ করে manga নামে।


আম সম্পর্কে আরো কিছুঃ  আম (Mango)  গ্রীষ্মমন্ডলীয় ও উপগ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশগুলিতে ব্যাপকভাবে উৎপন্ন একটি ফল। Anacardiaceae গোত্রের Mangifera indica প্রজাতির এ ফল গাছের উৎপত্তির ইতিহাস সুপ্রাচীন। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের মতে, আম বাংলাদেশ, আসাম (ভারত) ও মায়ানমারসহ ভারত উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চলের স্থানীয় ফল। অন্যান্য প্রজাতি যথা M. laurina-এর উৎপত্তি সম্ভবত মালয় অঞ্চলে। ভারতের বিভিন্ন ধর্মীয় ও লোকজ অনুষ্ঠানে ব্যবহার্য ফলাদির মধ্যে আমের ব্যবহার সর্বাধিক। এসব অনুষ্ঠানের সঙ্গে আমের মতো অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক খুব কম ফলেরই রয়েছে। কথিত আছে, স্বয়ং গৌতম বুদ্ধকে একটি আম্রকানন উপহার দেওয়া হয়েছিল যেন তিনি তার ছায়ায় বিশ্রাম নিতে পারেন। বিখ্যাত চীনা পর্যটক  হিউয়েন-সাং ৬৩২ থেকে ৬৪৫ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ে ভারত ভ্রমণে এসেছিলেন। ধারণা করা হয় তিনিই আমকে সর্বপ্রথম বহির্বিশ্বে পরিচিত করান। মুগল সম্রাট  আকবর তাঁর শাসনামলে (১৫৫৬-১৬০৫ খ্রিস্টাব্দ) ভারতের লাখবাগের দারভাঙার সন্নিকটে প্রায় এক লক্ষ আম গাছ রোপন করেছিলেন। সেটিকে ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম সুসংগঠিত আমবাগান বলে মনে করা হয়।


 তথ্যসুত্রঃ বাংলাপিডিয়া থেকে নেয়া (সংক্ষেপিত)

আমের নামকরণ তথ্য আমের নামকরণ তথ্য Reviewed by sm sohage on February 18, 2019 Rating: 5

প্রণব-শুভ্রা গোলাপের নামকরণ ইতিহাস ও বিবরণ

February 17, 2019

ভারতের ইতিহাসে প্রথম রাষ্ট্রপতির নামে বিশেষ কোনো গোলাপের নামকরণ হলো।নামকরণ হয়েছে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও তার প্রয়াত স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জির নামে।
পশ্চিমবঙ্গের ফুল বিশেষজ্ঞরা গোলাপের এ দুটি প্রজাতির উদ্ভাবক। মেদিনীপুরের জাকপুরে জন্ম নেওয়া এসব গোলাপ শোভা পাবে দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে। এর মধ্যে হলুদ রঙের নতুন প্রজাতির গোলাপটিকে দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতির নাম। আর তার প্রয়াত স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জির নামাঙ্কিত গোলাপটির রঙ গোলাপি-বেগুনি।নতুন প্রজাতির এই ফুলগুলো উদ্ভাবন করেছেন জাকপুরের পুষ্পাঞ্জলি রোজ নার্সারির সদস্যরা। তাদের আবেদনের পর ২০১৭ সালে জানুয়ারী মাসে গোলাপের এ দুই প্রজাতির ফুলকে অনুমোদন দেয় ইন্ডিয়া রোজ ফেডারেশন। তারপর বীজ পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতি ভবনে।
এই প্রথমবার কোনো ভারতীয় রাষ্ট্রপতির নামে নামাঙ্কিত ফুল প্রদর্শন করা হবে রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রধান বাগানে।

প্রণব-শুভ্রা গোলাপের নামকরণ ইতিহাস ও বিবরণ প্রণব-শুভ্রা গোলাপের নামকরণ ইতিহাস ও বিবরণ Reviewed by sm sohage on February 17, 2019 Rating: 5

মালাঘন্টির ফুলের নামকরণ ও বিবরণ

February 17, 2019
মালাঘন্টি ফুলের অন্য নাম বন পিটুনিয়া, ইংরেজি নাম সফট ওয়াইল্ড পিটুনিয়া থেকে এই নামকরণ। পিটুনিয়া ও পটপটি ফুলের সঙ্গে এ ফুলের মিল থাকলেও প্রজাতিগত বর্ণনায় মিল নেই। গাছের চেহারাও ভিন্ন। মালাঘন্টির উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম ruellia malacosperma। পরিবার একানথেসি। ফ্রান্সের জনৈক হার্বালিস্ট ও চিকিৎসক জিন রুয়েলির নামের সম্মানে এ উদ্ভিদের গণের নামকরণ করা হয়েছে। গাছ বীরুৎ শ্রেণির, ছোট ঝোপ হয়। উচ্চতায় বড়জোর এক মিটার হয়। গাছ বর্ষজীবী। পাতা সরু, অনেকটা ঘাস বা চিকন বাঁশপাতার মতো, পাতার রং গাঢ় সবুজ। বেশ ডালপালা হয়। ডালের রং কালচে বেগুনি।

মেক্সিকো ও ক্যারিবীয় অঞ্চল মালাঘন্টির আদি নিবাস। খুলনার দৌলতপুর হর্টিকালচার সেন্টারেও এ ফুলগাছ আছে।

শ্রাবণের শেষ থেকে শুরু করে আশ্বিন-কার্তিকজুড়ে ফুটতে থাকে মালাঘন্টির ফুল। ফুল ঘন্টাকৃতি, পাঁচটি পাপড়িযুক্ত হয়ে মাইকের চোঙের মতো। পাপড়ির রং বেগুনি, কেন্দ্রভাগ ঘন নীল বা গাঢ় বেগুনি। ফুলে কোনো গন্ধ নেই। পাতার বোঁটার গোড়া থেকে ফুল ফোটে। ফুল ফোটে অনেক। এ জন্য বাগানকে সৌন্দর্যময় করতে এ গাছ লাগানো হয়। অযত্নেও গাছ টিকে থাকে। বীজ থেকে চারা হয়।

তথ্য ও ছবিঃ  প্রথমআলো
মালাঘন্টির ফুলের নামকরণ ও বিবরণ মালাঘন্টির ফুলের নামকরণ ও বিবরণ Reviewed by sm sohage on February 17, 2019 Rating: 5

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে ইসরাইলের ফুলের নাম ‘মোদি’

February 17, 2019

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে ইসরায়েলের নতুন একটি চন্দ্রমল্লিকা ফুলের নামকরণ করা হয়েছে। ভারতের কোনো প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ইসরায়েল সফরকে স্মরণীয় করে রাখতে দেশটি এ উদ্যোগ গ্রহণ করে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর টুইট করে এ ঘোষণা দিয়েছে। এখন থেকে দ্রুত বেড়ে ওঠা নতুন প্রজাতির এই চন্দ্রমল্লিকার নাম ‘মোদি’।


ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তেল আবিবের বিশ্বখ্যাত ড্যানজিগার পুষ্প গবেষণাকেন্দ্র ঘুরে দেখেন দেশটিতে সফররত নরেন্দ্র মোদি। এ সময় ফুলের চাষে যে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, তা দুই প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। এরপরেই মোদির নামে ফুলের নামকরণ করা হয়। পরে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোও টুইট করে মোদির নামে ফুলের কথা জানিয়েছে।


জানা যায়, ড্যানজিগার পুষ্প গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তোলা হয় ১৯৫৩ সালে। ৮০ হাজার বর্গমিটারের ওই বাগানে বিভিন্ন ধরনের ফুল ও গাছের চাষ হয়। সেখানেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যান মোদি। এরপর তিনি পেলেন এই অনন্য সম্মান।


তথ্য ও ছবি সূত্র : কালেরকন্ঠ ও অনলাইন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে ইসরাইলের ফুলের নাম ‘মোদি’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে ইসরাইলের ফুলের নাম ‘মোদি’ Reviewed by sm sohage on February 17, 2019 Rating: 5

জারবেরা ফুলের নামকরণ

February 17, 2019

সূর্যমুখী পরিবারের জনপ্রিয় ফুলটির নাম জারবেরা। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, উদ্ভিদবিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াসের বন্ধু জার্মান উদ্ভিদবিজ্ঞানী ও প্রকৃতিবিদ ট্রাউগট গেরবার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে। স এ ফুলটি আফ্রিকান ডেইজি নামেও পরিচিত। প্রায় ৩০টি প্রজাতির জারবেরা ছড়িয়ে আছে দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়ায়। ফুলটি পৃথিবীব্যাপী কাট ফ্লাওয়ার হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।


লাল, সাদা, হলুদ, পিংক, ম্যাজেন্টা, কমলা রঙের জারবেরা ফুল। এই ফুলের চারা এতদিন ভারত থেকে চোরাপথে আসত। তাও সেটা পশ্চিমবঙ্গ নয়, ভারতের ব্যাঙ্গালুরু, পুনে থেকে। আর এখন এই চারা তৈরি হচ্ছে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে বাংলাদেশে।যশোরের গদখালীতে অন্যান্য ফুলের সঙ্গে ২০০৮ সাল থেকে চাষ হচ্ছে জারবেরা।


সূর্যমুখীর মতো দেখতে এই ফুলগাছের পাতা পালং শাকের মতো। আমাদের  দেশে লাল, সাদা, হলুদ, গোলাপি, কমলাসহ কয়েকটি রঙের জারবেরার চাষ হয়। সারা বছরই জারবেরা ফুল ফোটে।  ২০০৯ সাল থেকে ইউরোপের ফুল  জারবেরা ফুলের চাহিদা ব্যাপক। জারবেরা ফুলের নান্দনিক সৌন্দর্য ফুলের জগতে এক আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। সাধারণত জারবেরা ফুল গাছ থেকে তোলার ৮-১৫ দিন এবং গাছে ফোটা অবস্থায় ৩০ থেকে ৪৫ দিন সতেজ থাকে। ফলে বাসাবাড়িতে এর চাহিদা অনেক।

জারবেরা ফুলের নামকরণ জারবেরা ফুলের নামকরণ Reviewed by sm sohage on February 17, 2019 Rating: 5
Powered by Blogger.