সূর্যমুখী পরিবারের জনপ্রিয় ফুলটির নাম জারবেরা। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, উদ্ভিদবিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াসের বন্ধু জার্মান উদ্ভিদবিজ্ঞানী ও প্রকৃতিবিদ ট্রাউগট গেরবার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে। স এ ফুলটি আফ্রিকান ডেইজি নামেও পরিচিত। প্রায় ৩০টি প্রজাতির জারবেরা ছড়িয়ে আছে দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়ায়। ফুলটি পৃথিবীব্যাপী কাট ফ্লাওয়ার হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
লাল, সাদা, হলুদ, পিংক, ম্যাজেন্টা, কমলা রঙের জারবেরা ফুল। এই ফুলের চারা এতদিন ভারত থেকে চোরাপথে আসত। তাও সেটা পশ্চিমবঙ্গ নয়, ভারতের ব্যাঙ্গালুরু, পুনে থেকে। আর এখন এই চারা তৈরি হচ্ছে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে বাংলাদেশে।যশোরের গদখালীতে অন্যান্য ফুলের সঙ্গে ২০০৮ সাল থেকে চাষ হচ্ছে জারবেরা।
সূর্যমুখীর মতো দেখতে এই ফুলগাছের পাতা পালং শাকের মতো। আমাদের দেশে লাল, সাদা, হলুদ, গোলাপি, কমলাসহ কয়েকটি রঙের জারবেরার চাষ হয়। সারা বছরই জারবেরা ফুল ফোটে। ২০০৯ সাল থেকে ইউরোপের ফুল জারবেরা ফুলের চাহিদা ব্যাপক। জারবেরা ফুলের নান্দনিক সৌন্দর্য ফুলের জগতে এক আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। সাধারণত জারবেরা ফুল গাছ থেকে তোলার ৮-১৫ দিন এবং গাছে ফোটা অবস্থায় ৩০ থেকে ৪৫ দিন সতেজ থাকে। ফলে বাসাবাড়িতে এর চাহিদা অনেক।
No comments: