Results for বিচিত্র প্রবন্ধ

শিশুদের নাম রাখা নিয়ে অদ্ভুত কিছু ঘটনা

February 20, 2019

সম্প্রতি নিজেদের সন্তানের নাম প্রিন্স উইলিয়াম রাখতে গিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞায় ব্যর্থ হয়েছেন এক ফরাসি দম্পতি। আদালতের যুক্তি, রাজপরিবারের সঙ্গে এ নামের মিল থাকায়, আজীবন নামের মালিককে কটূক্তি শুনতে হবে। নামের কারণে কটূক্তির ঝুঁকি থাকলে, ফরাসি আদালত নবজাতকের নামকরণের বেলায় হস্তক্ষেপ করতে পারে। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা কেবল ফ্রান্সেই ঘটে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই নবজাতকদের অদ্ভুত নামকরণের ঘটনা আলোচিত হয়েছে বেশ। যদিও এ নিয়ে পিতা-মাতাকে সমস্যাও পোহাতে হয়েছে অনেক। আবার কিছুক্ষেত্রে আদালত বা কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন নির্দিষ্ট কোন নাম রাখার ওপর। বৃটেনের দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট তুলে এনেছে বিভিন্ন দেশের নবজাতকদের দেয়া অদ্ভুত নামের একটি তালিকা। তালুলা ডাজ দ্য হুলা ফ্রম হাওয়াই: ৯ বছরের একটি শিশুর এ নাম নিয়ে নিউজিল্যান্ডের একটি আদালত হস্তক্ষেপ করেছিলেন। বিচারক রব মারফিট ব্যাখ্যা করে বলেন, এ নামের ফলে শিশুটি আজীবন টিজিং-এর শিকার হবে। এ ছাড়া অপ্রয়োজনীয় সামাজিক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হবে। যন্ত্রণা নিয়েই পার করতে হবে বাকি জীবন। বেনসন অ্যান্ড হেজেস: দুই যমজ ভাইয়ের নাম রাখা হয়েছিল এ নামে। এ ঘটনাও নিউজিল্যান্ডে ঘটেছে। নামটি যদিও একটি সিগারেট ব্রান্ডের, তবে কর্মকর্তারা মেনে নিয়েছেন। নিউটেলা: এক ফরাসি দম্পতি নিজেদের সন্তানের এ নাম রাখতে চেয়েছিলেন। মূলত, ইতালির একটি বিখ্যাত বাদাম-চকোলেট জেলির নাম নিউটেলা। আদালত এ নাম রাখার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেয়। মেটালিকা: বিশ্বখ্যাত হার্ডরক মেটাল ব্যান্ডটির নাম-অনুযায়ী নিজেদের সন্তানের নাম মেটালিকা রাখতে চেয়েছিলেন এক সুইডিশ দম্পতি। কিন্তু পরে তারা এ নিয়ে বেশ ঝামেলা পোহান। ফেসবুক: মেক্সিকোর অনেকেই নিজেদের সন্তানের নাম রাখার চেষ্টা করেছিলেন ফেসবুক! এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষ গোটা দেশেই নবজাতকের নাম ফেসবুক রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। (মানবজমিন)

শিশুদের নাম রাখা নিয়ে অদ্ভুত কিছু ঘটনা শিশুদের নাম রাখা নিয়ে অদ্ভুত কিছু ঘটনা Reviewed by sm sohage on February 20, 2019 Rating: 5

বগুড়ার দুধফল গাছ!

December 11, 2018
কবে-কীভাবে বেড়ে উঠেছে, তা সঠিকভাবে কারও জানা নেই। দিনে দিনে বেড়ে উঠেছে দুধফল গাছটি। এখন তার বয়স প্রায় ২০০ বছর। গাছটির প্রকৃত নাম এখনো কেউ বলতে পারে না। শুরুতে গাছটি সবার অচেনা-অজানা হলেও, ফল ধরার পর সে গাছের নাম দেওয়া হয় দুধফল। এ গাছের ফল ভাঙলে ভিতর থেকে দুধের মতো রস বের হয়। সে কারণেই স্থানীয়রা বিরল প্রজাতির এ গাছের নামকরণ এমনটি করেছে। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরের চড়কতলা এলাকার নিয়োগী বাড়ির পুকুরপাড়ে দুধফল গাছটি



প্রায় ২০০ বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে। গাছটি নিয়ে এলাকার মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। এর ফল ছোট আকারের সবুজ বর্ণের। এটির বৃন্ত ছোট, ফুল লম্বাকৃতির ও ফল ডিম্বাকার। ফলটি পরিপক্ব হলে সম্পূর্ণ হলুদ বর্ণের হয়ে যায়। পাকলে এ ফলের ভেতর ঘন সাদা ধব্ধবে দুধের মত আঠালো এক ধরণের রস পাওয়া যায়। যা খেতে খুবই সু-স্বাদু। স্থানীয়রা ফল পাকলে গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করে থাকে। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জ্যৈষ্ঠ মাসে গাছটির ফল পাকে। নিয়োগী পরিবারের সদস্য প্রবীণ সত্যেশ চন্দ্র নিয়োগী (ভানু) জানান, তার দাদা শখের বসে গাছটি লাগিয়েছিলেন। তিনি জানান, বছরের বৈশাখ মাসে ডালে শোভা পায় ফুল, তারপর কিছুদিন যাওয়ার পর গাছে ফলের আকৃতি ধারণ করে। তারপর জৈষ্ঠ্যের শুরুতেই এই ফলটি আবরণ আর রং বদলে এটি ধারণ করে হলুদ বর্ণের। গাছটির প্রকৃত পরিচয় না জানার কারণে স্থানীয়দের মধ্যে এটি নিয়ে প্রচুর কৌতূহলও রয়েছে।

তিনি বলেন, গাছের গুণগত মান, ফলের খাদ্যমান, ওষুধি গুণ এবং চারা তৈরির বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করা দরকার। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা গাছটি সম্পর্কে কিছুই বলতে পারেনি।

তথ্যসুত্র ও ছবি ঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন।
বগুড়ার দুধফল গাছ! বগুড়ার দুধফল গাছ! Reviewed by sm sohage on December 11, 2018 Rating: 5

মাছের নামে ২২টি গ্রাম

November 22, 2018
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ২২টি গ্রামের নাম রয়ে গেছে মাছের নামে । এমনকি রৌমারী নামটিও একটি মাছের নাম থেকে এসেছে। পরে সংস্কার হতে হতে রৌমারী নামটি পরিচিতি লাভ করেছে।
প্রায় একশ বছরের আগের কথা। সে সময় কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার পুরো এলাকা ছিল বিশাল ব্রহ্মপুত্র, সোনাভরি হলহলিয়া, জিঞ্জিরাম নদী বিচ্ছিন্ন। ভারতের নুন খাওয়া এলাকা দিয়ে বিশাল ব্রহ্মপুত্র বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আর এই প্রবেশ দ্বারেই রৌমারীর অবস্থান। ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদীগুলো ছিটিয়ে বিছিয়ে ছিল। ফলে নদীর বুকে চিরে জেগে উঠছিল ছোট ছোট চর। চিলমারী থেকে জেলেরা এখানে আসত মাছ ধরতে। যে চরের কাছে নদীতে যে প্রকার মাছ পাওয়া যেত সেই চর ওই মাছের নামে চিনত জেলেরা। এবং মাছের নামেই চরের নাম বলত। কালের আবর্তে নদী শুকিয়ে সেই সব ছোট ছোট চরের পরিধি বাড়তে থাকে। বিশাল বিশাল চর পড়ে থাকায় রংপুর ও টাঙ্গাইল থেকে মানুষজন এসে ওইসব চরে বসতি গড়ে তোলে। ক্রমেই চরের সংখ্যা বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে জনবসতি। আর এভাবেই চরের নামে এলাকা বা গ্রামের নাম হয়ে ওঠে মাছের নামে। পরবর্তীতে কিছু কিছু নাম সংশোধন হলেও অনেক নামই রয়েছে গেছে মাছের নামে। যে এলাকার যে জাতের মাছ পাওয়া যেত সেই এলাকা মাছের নাম হিসেবে যুগ যুগ ধরে ইউনিয়ন পরিষদের তালিকায় রয়েছে। এভাবেই একটি দুটি নয়, কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ২২টি গ্রামের নাম রয়ে গেছে মাছের নামে । এমনকি রৌমারী নামটিও একটি মাছের নাম থেকে এসেছে। পরে সংস্কার হতে হতে রৌমারী নামটি পরিচিতি লাভ করেছে। জানা গেছে, ওই সময়ে জেলেদের জালে প্রচুর রুই মাছ ধরা পড়ত। আর এ কারনে নামকরন হয়েছে রৌমারীর। একই ভাবে কর্তিমারী (কর্তিমাছ), ইছাকুড়ি (ইছা বা চিংড়ি), শৌলমারী (শৌলমাছ), বোয়ালমারী (বোয়াল মাছ), বাইমমারী (বাইম মাছ) টুক্কার চর (টেংরা মাছ), চান্দার চর (চান্দামাছ), টাপুর চর (টাকিমাছ), বাউসমারী (বাউসমাছ), পুটির চর (পুঁটিমাছ), বাইটকামারী (বাইটকা মাছ), কাওয়ার চর (কাওয়ালমাছ), ফুলুয়ার চর (ফলিয়ামাছ), চেংটামারী (চেংমাছ), বাগুয়ারচর (বাঘারমাছ), ইছলামারী (ইলিশ মাছ), কাজাইকাটা (কাজকিমাছ), আইড়মারী (আইড়মাছ), চতলাকান্দা (চিতলমাছ), ইটালুকান্দা (ইটালুমাছ), বালিয়ামারী (বালিয়ামাছ)। এগুলো প্রতিটি এক একটি গ্রামের নাম। আর মাছের নামে এসব গ্রামের মানুষ ওই সব নামে পরিচিত হয়ে উঠছে। তবে, একশ’ বছর আগের ওই সব বালি চর এখন আবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে। সোনাভরি হলহলিয়া ও জিঞ্জিরাম নদী একেবারেই শুকিয়ে গেছে। বিশাল ব্রহ্মপুত্র নদও মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। নদের বুকে জেগে উঠেছে অসংখ্য চর। রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী বলেন, যে স্থানে আমরা বসবাস করছি এটা এক সময় নদী ও বালুচর ছিল। তখন এখানে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। আর এই মাছের কারনেই বিভিন্ন গ্রামের নামকরণ হয়েছে মাছের নামে।

তথ্য সুত্রঃ প্রিয়ডটকম।
মাছের নামে ২২টি গ্রাম মাছের নামে ২২টি গ্রাম Reviewed by sm sohage on November 22, 2018 Rating: 5
Powered by Blogger.