শিশুদের নাম রাখা নিয়ে অদ্ভুত কিছু ঘটনা
সম্প্রতি নিজেদের সন্তানের নাম প্রিন্স উইলিয়াম রাখতে গিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞায় ব্যর্থ হয়েছেন এক ফরাসি দম্পতি। আদালতের যুক্তি, রাজপরিবারের সঙ্গে এ নামের মিল থাকায়, আজীবন নামের মালিককে কটূক্তি শুনতে হবে। নামের কারণে কটূক্তির ঝুঁকি থাকলে, ফরাসি আদালত নবজাতকের নামকরণের বেলায় হস্তক্ষেপ করতে পারে। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা কেবল ফ্রান্সেই ঘটে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই নবজাতকদের অদ্ভুত নামকরণের ঘটনা আলোচিত হয়েছে বেশ। যদিও এ নিয়ে পিতা-মাতাকে সমস্যাও পোহাতে হয়েছে অনেক। আবার কিছুক্ষেত্রে আদালত বা কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন নির্দিষ্ট কোন নাম রাখার ওপর। বৃটেনের দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট তুলে এনেছে বিভিন্ন দেশের নবজাতকদের দেয়া অদ্ভুত নামের একটি তালিকা। তালুলা ডাজ দ্য হুলা ফ্রম হাওয়াই: ৯ বছরের একটি শিশুর এ নাম নিয়ে নিউজিল্যান্ডের একটি আদালত হস্তক্ষেপ করেছিলেন। বিচারক রব মারফিট ব্যাখ্যা করে বলেন, এ নামের ফলে শিশুটি আজীবন টিজিং-এর শিকার হবে। এ ছাড়া অপ্রয়োজনীয় সামাজিক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হবে। যন্ত্রণা নিয়েই পার করতে হবে বাকি জীবন। বেনসন অ্যান্ড হেজেস: দুই যমজ ভাইয়ের নাম রাখা হয়েছিল এ নামে। এ ঘটনাও নিউজিল্যান্ডে ঘটেছে। নামটি যদিও একটি সিগারেট ব্রান্ডের, তবে কর্মকর্তারা মেনে নিয়েছেন। নিউটেলা: এক ফরাসি দম্পতি নিজেদের সন্তানের এ নাম রাখতে চেয়েছিলেন। মূলত, ইতালির একটি বিখ্যাত বাদাম-চকোলেট জেলির নাম নিউটেলা। আদালত এ নাম রাখার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেয়। মেটালিকা: বিশ্বখ্যাত হার্ডরক মেটাল ব্যান্ডটির নাম-অনুযায়ী নিজেদের সন্তানের নাম মেটালিকা রাখতে চেয়েছিলেন এক সুইডিশ দম্পতি। কিন্তু পরে তারা এ নিয়ে বেশ ঝামেলা পোহান। ফেসবুক: মেক্সিকোর অনেকেই নিজেদের সন্তানের নাম রাখার চেষ্টা করেছিলেন ফেসবুক! এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষ গোটা দেশেই নবজাতকের নাম ফেসবুক রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। (মানবজমিন)