কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ২২টি গ্রামের নাম রয়ে গেছে মাছের নামে । এমনকি রৌমারী নামটিও একটি মাছের নাম থেকে এসেছে। পরে সংস্কার হতে হতে রৌমারী নামটি পরিচিতি লাভ করেছে।
প্রায় একশ বছরের আগের কথা। সে সময় কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার পুরো এলাকা ছিল বিশাল ব্রহ্মপুত্র, সোনাভরি হলহলিয়া, জিঞ্জিরাম নদী বিচ্ছিন্ন। ভারতের নুন খাওয়া এলাকা দিয়ে বিশাল ব্রহ্মপুত্র বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আর এই প্রবেশ দ্বারেই রৌমারীর অবস্থান। ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদীগুলো ছিটিয়ে বিছিয়ে ছিল। ফলে নদীর বুকে চিরে জেগে উঠছিল ছোট ছোট চর। চিলমারী থেকে জেলেরা এখানে আসত মাছ ধরতে। যে চরের কাছে নদীতে যে প্রকার মাছ পাওয়া যেত সেই চর ওই মাছের নামে চিনত জেলেরা। এবং মাছের নামেই চরের নাম বলত। কালের আবর্তে নদী শুকিয়ে সেই সব ছোট ছোট চরের পরিধি বাড়তে থাকে। বিশাল বিশাল চর পড়ে থাকায় রংপুর ও টাঙ্গাইল থেকে মানুষজন এসে ওইসব চরে বসতি গড়ে তোলে। ক্রমেই চরের সংখ্যা বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে জনবসতি। আর এভাবেই চরের নামে এলাকা বা গ্রামের নাম হয়ে ওঠে মাছের নামে। পরবর্তীতে কিছু কিছু নাম সংশোধন হলেও অনেক নামই রয়েছে গেছে মাছের নামে। যে এলাকার যে জাতের মাছ পাওয়া যেত সেই এলাকা মাছের নাম হিসেবে যুগ যুগ ধরে ইউনিয়ন পরিষদের তালিকায় রয়েছে। এভাবেই একটি দুটি নয়, কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ২২টি গ্রামের নাম রয়ে গেছে মাছের নামে । এমনকি রৌমারী নামটিও একটি মাছের নাম থেকে এসেছে। পরে সংস্কার হতে হতে রৌমারী নামটি পরিচিতি লাভ করেছে। জানা গেছে, ওই সময়ে জেলেদের জালে প্রচুর রুই মাছ ধরা পড়ত। আর এ কারনে নামকরন হয়েছে রৌমারীর। একই ভাবে কর্তিমারী (কর্তিমাছ), ইছাকুড়ি (ইছা বা চিংড়ি), শৌলমারী (শৌলমাছ), বোয়ালমারী (বোয়াল মাছ), বাইমমারী (বাইম মাছ) টুক্কার চর (টেংরা মাছ), চান্দার চর (চান্দামাছ), টাপুর চর (টাকিমাছ), বাউসমারী (বাউসমাছ), পুটির চর (পুঁটিমাছ), বাইটকামারী (বাইটকা মাছ), কাওয়ার চর (কাওয়ালমাছ), ফুলুয়ার চর (ফলিয়ামাছ), চেংটামারী (চেংমাছ), বাগুয়ারচর (বাঘারমাছ), ইছলামারী (ইলিশ মাছ), কাজাইকাটা (কাজকিমাছ), আইড়মারী (আইড়মাছ), চতলাকান্দা (চিতলমাছ), ইটালুকান্দা (ইটালুমাছ), বালিয়ামারী (বালিয়ামাছ)। এগুলো প্রতিটি এক একটি গ্রামের নাম। আর মাছের নামে এসব গ্রামের মানুষ ওই সব নামে পরিচিত হয়ে উঠছে। তবে, একশ’ বছর আগের ওই সব বালি চর এখন আবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে। সোনাভরি হলহলিয়া ও জিঞ্জিরাম নদী একেবারেই শুকিয়ে গেছে। বিশাল ব্রহ্মপুত্র নদও মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। নদের বুকে জেগে উঠেছে অসংখ্য চর। রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী বলেন, যে স্থানে আমরা বসবাস করছি এটা এক সময় নদী ও বালুচর ছিল। তখন এখানে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। আর এই মাছের কারনেই বিভিন্ন গ্রামের নামকরণ হয়েছে মাছের নামে।
তথ্য সুত্রঃ প্রিয়ডটকম।
প্রায় একশ বছরের আগের কথা। সে সময় কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার পুরো এলাকা ছিল বিশাল ব্রহ্মপুত্র, সোনাভরি হলহলিয়া, জিঞ্জিরাম নদী বিচ্ছিন্ন। ভারতের নুন খাওয়া এলাকা দিয়ে বিশাল ব্রহ্মপুত্র বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আর এই প্রবেশ দ্বারেই রৌমারীর অবস্থান। ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদীগুলো ছিটিয়ে বিছিয়ে ছিল। ফলে নদীর বুকে চিরে জেগে উঠছিল ছোট ছোট চর। চিলমারী থেকে জেলেরা এখানে আসত মাছ ধরতে। যে চরের কাছে নদীতে যে প্রকার মাছ পাওয়া যেত সেই চর ওই মাছের নামে চিনত জেলেরা। এবং মাছের নামেই চরের নাম বলত। কালের আবর্তে নদী শুকিয়ে সেই সব ছোট ছোট চরের পরিধি বাড়তে থাকে। বিশাল বিশাল চর পড়ে থাকায় রংপুর ও টাঙ্গাইল থেকে মানুষজন এসে ওইসব চরে বসতি গড়ে তোলে। ক্রমেই চরের সংখ্যা বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে জনবসতি। আর এভাবেই চরের নামে এলাকা বা গ্রামের নাম হয়ে ওঠে মাছের নামে। পরবর্তীতে কিছু কিছু নাম সংশোধন হলেও অনেক নামই রয়েছে গেছে মাছের নামে। যে এলাকার যে জাতের মাছ পাওয়া যেত সেই এলাকা মাছের নাম হিসেবে যুগ যুগ ধরে ইউনিয়ন পরিষদের তালিকায় রয়েছে। এভাবেই একটি দুটি নয়, কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ২২টি গ্রামের নাম রয়ে গেছে মাছের নামে । এমনকি রৌমারী নামটিও একটি মাছের নাম থেকে এসেছে। পরে সংস্কার হতে হতে রৌমারী নামটি পরিচিতি লাভ করেছে। জানা গেছে, ওই সময়ে জেলেদের জালে প্রচুর রুই মাছ ধরা পড়ত। আর এ কারনে নামকরন হয়েছে রৌমারীর। একই ভাবে কর্তিমারী (কর্তিমাছ), ইছাকুড়ি (ইছা বা চিংড়ি), শৌলমারী (শৌলমাছ), বোয়ালমারী (বোয়াল মাছ), বাইমমারী (বাইম মাছ) টুক্কার চর (টেংরা মাছ), চান্দার চর (চান্দামাছ), টাপুর চর (টাকিমাছ), বাউসমারী (বাউসমাছ), পুটির চর (পুঁটিমাছ), বাইটকামারী (বাইটকা মাছ), কাওয়ার চর (কাওয়ালমাছ), ফুলুয়ার চর (ফলিয়ামাছ), চেংটামারী (চেংমাছ), বাগুয়ারচর (বাঘারমাছ), ইছলামারী (ইলিশ মাছ), কাজাইকাটা (কাজকিমাছ), আইড়মারী (আইড়মাছ), চতলাকান্দা (চিতলমাছ), ইটালুকান্দা (ইটালুমাছ), বালিয়ামারী (বালিয়ামাছ)। এগুলো প্রতিটি এক একটি গ্রামের নাম। আর মাছের নামে এসব গ্রামের মানুষ ওই সব নামে পরিচিত হয়ে উঠছে। তবে, একশ’ বছর আগের ওই সব বালি চর এখন আবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে। সোনাভরি হলহলিয়া ও জিঞ্জিরাম নদী একেবারেই শুকিয়ে গেছে। বিশাল ব্রহ্মপুত্র নদও মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। নদের বুকে জেগে উঠেছে অসংখ্য চর। রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী বলেন, যে স্থানে আমরা বসবাস করছি এটা এক সময় নদী ও বালুচর ছিল। তখন এখানে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। আর এই মাছের কারনেই বিভিন্ন গ্রামের নামকরণ হয়েছে মাছের নামে।
তথ্য সুত্রঃ প্রিয়ডটকম।
মাছের নামে ২২টি গ্রাম
Reviewed by sm sohage
on
November 22, 2018
Rating:
No comments: