বরকামতা ইউনিয়ন এর নামকরণ ইতিহাস

অবস্থানঃ বরকামতা - কুমিল্লা জেলার  দেবিদ্বার উপজেলার অর্ন্তগত একটি ইউনিয়ন।

সমতট রাজ্যের রাজধানী খ্যাত ‘বরকামতা’। নানা কারনে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ‘বরকামতা’কেই সমতট রাজ্যের রাজধানী বলে ধারনা করা হচ্ছে। যদিও কুমিল্লায় ‘বরকামতা’ নামে আরো গ্রামের অস্তিত্ব থাকায়, দেবীদ্বারের ‘বরকামতা’ই যে সমতটের রাজধানী এ বিষয়ে ইতিহাস বিদগণের তথ্য-উপাত্ত্য থেকে পরিস্কার ধারনা না পাওয়া গেলেও , ইতিহাসে বর্ণিত তথ্যানুযায়ী প্রবল পরাক্রান্ত চন্দ্র বংশীয় রাজাদের রাজধানী ছিল রোহিতগিরিতে।পরবর্তীতে পালাক্রমে তাদের বংশিয়দের রাজত্বের বিস্তৃতি ছিল কুমিল্লার নিকটবর্তী ক্ষিরোদ নদীর তীরে পূর্বোক্ত দেবপর্বত নামক স্থানে। ক্ষিরোদ নদীটির অবস্থান যেহেতু দেবিদ্বার উপজেলার বরকামতা’র পাশ ঘেঁসে গোমতী নদীর সাথে সংযুক্ত ছিল (বর্তমান চান্দিনা বাস স্টেশনের পার্শ্বে বাগুর গ্রামের বিলুপ্তপ্রায় খাল আকৃতিটিই ছিল প্রাচীন আমলের ক্ষিরোদ নদী)।সে কারনে ধারনা করা হচ্ছে সমতট রাজ্যের রাজধানী বর্তমান দেবিদ্বার উপজেলার বরকামতা’ই ছিল। হিন্দু অধ্যুষিত ঐতিহ্যমন্ডিত কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ‘বরকামতা’ গ্রাম। নানা দিক থেকে দেবিদ্বার’র এ গ্রামটি ইতিহাস ঐতিহ্যের শীর্ষস্থানে রয়েছে। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক’র পাশে দেবিদ্বার এবং চান্দিনা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত বরকামতা  কুমিল্লা শহর থেকে পশ্চিম দিকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তবে এ গ্রামের নামকরণ নিয়েও ভিন্নমত রয়েছে।  উল্লেখ্য যে, বরকামতা গ্রামের নামেই এই ইউনিয়নের নামাকরণ করা হয়।

বরকামতা’র নামকরণঃ

ফাহিয়েন সাং, বিখ্যাত চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাং ও প্রত্নতত্ববিদ নলিনী কান্তি ভট্রশালীর মতে বরকামতা নামকরণ নিয়ে নানা মতভেদ প্রচলিত আছে। তন্মধ্যে বহুল প্রচলিত তথ্য হলো শেরশাহ্’র শাসনামলে ‘দি গ্রান্ড ট্রাং রোড’ বর্তমানে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহা সড়ক’র ‘চান্দিনা বাইপাস’ সড়কের উত্তরাংশে বিশাল সমতল ভূমি বিস্তৃত এলাকা নিয়ে সমতটের রাজধানী ‘বরক্যামটা’র অবস্থান ছিল।

বরকামতা নামকরণ নিয়ে নানা মতভেদ লোকমুখে প্রচলিত আছে। অনেকের মতে জমিদারী আমলে ত্রিপুরা রাজ্যোর তৎকালীন জমিদার ভ্রমনোদ্দেশ্যে রাজশাহী গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি পান ক্ষেতের দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হন। অতঃপর তিনি নিজ এলাকা ত্রিপুরা এসে মেঘনা নদীর পূর্ব অববাহিকার সমতল ভূমিতে (বর্তমান বরকামতা) পান চাষ শুরু করেন। প্রায় ১৫কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই পান ক্ষেতগুলোকে পশুপাখীর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বাঁশের ফালি (কাইম) দিয়ে বেড়া দেয়া হয়েছিল। আর পান ক্ষেতগুলোকে বলা হত পানের ‘বরজ’। ‘বরজ’ এবং ‘কাইম’র সংমিশ্রণে এই এলাটিকে তখন ‘বরজকাইমতা’ বলে ডাকা হতো। সময়ের পরিবর্তনে এই বরজকাইমতা ‘বরকামতা’ রূপে নামান্তরিত হয়েছে।

আবার বরকামতা গ্রামের বর্ষীয়ানদের মতে, জমিদারী আমলে জমিদাররা বরলাটদের কাছ থেকে জমি ইজারা নিত। ওই সময়ের ত্রিপুরার তৎকালীন জমিদার ওই সময়কার বড়লাট লর্ড ক্যানিং ক্যামটা’র নিকট থেকে প্রায় সূদীর্ঘ এলাকা ইজারা নিয়েছিলেন। এই এলাকার একটি নির্দিষ্ট সীমা রেখায় ‘লর্ড ক্যামটা’ এসেছিলেন। তার নামানুসারে এই সীমা রেখাটির নাম রাখা হয়েছিল বড়লর্ডক্যামটা’। পরবর্তীতে এই ‘বড়লর্ডক্যামটা’ নাম পরিবর্তন হয়ে ‘বড়ক্যামটা’ এবং ‘বড়ক্যামটা’ থেকে এলাকাটি ‘বরকামতা’ নামে পরিচিতি লাভ করে।

সমতট রাজ্যের রাজধানী ‘বরকামতা’র উৎপত্তির ইতিহাসঃ


বর্তমান ‘বরকামতা’ গ্রামটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অংশ ছিল। সাবেক বৃহত্তর কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্রগ্রাম জেলার বিশাল অংশ নিয়ে সমতট রাজ্যের অবস্থান ছিল এবং প্রায় ৫শত মাইল বিস্তৃত ছিল বলে জানা যায়। খ্রীষ্টিয় নবম শতাব্দীতে এ অঞ্চলটি হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে চলে আসে। (বর্তমান রাঙ্গামাটি জেলার পূর্ববর্তী নাম ছিল হরিকেল) অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল (ময়নামতির সাবেক নাম ছিল রোহিতগিরি)। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী’র অধীনে আসার পর ১৭৯০সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা হয়। রাজা কমলাঙ্ক’র শাসনামলে তার নামানুসারে এ জেলার নাম হয়েছিল ‘কমলাঙ্ক’, কালক্রমে ‘কমলাঙ্ক’ থেকে ‘কার্মান্ত,’ ‘কার্মান্ত’ থেকে ‘কর্র্মূল্যা’, ‘কর্মূল্যা’ থেকে ‘কুমিল্যা’ এবং সর্বশেষ ১৯৬০সালে এর নাম পরিবর্তন করে ‘কুমিল্লা’ রাখা হয়।

তিব্বতের ভিক্ষু লামা তারনাথ বাংলাদেশের চন্দ্রবংশ সম্পর্কে বর্ণনায় বলেছেন যে, ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শতাব্দীতে তাঁরা এখানে রাজত্ব করেছেন। কুমিল্লা জেলার সম্প্রতি ময়নামতি-লালমাই পাহাড়ি অঞ্চল খনন করে অনেক নতুন নতুন প্রত্নতত্ত্বপাওয়া গেছে, যার উপর নির্ভর করে ৮ম শতাব্দী থেকে পূর্ব ও দক্ষিণ বাংলার ইতিহাস অনেকখানি পুনর্গঠন করা সম্ভব হয়েছে। ৫৯৬ খ্রীষ্টাব্দে কান্তিদেবের পরে প্রবল পরাক্রান্ত চন্দ্রবংশ পূর্ব ও দক্ষিণ বঙ্গে রাজত্ব পরিচালনা করেছেন। এই বংশের প্রথম দুই জন রাজা পূর্ণচন্দ্র ও তাঁর পুত্র সুবর্ণচন্দ্র রোহিতাগিরিতে রাজত্ব করেছেন। এটি সম্ভবত: বর্তমান বিহার প্রদেশের শাহাবাদ জেলার অন্তর্গত রোটাসগড়েরই প্রাচীন নাম। পরবর্তীকালে এই বংশীয় রাজাদের রাজধানী ছিল কুমিল্লার নিকটবর্তী ক্ষিরোদ নদীর তীরে পূর্বোক্ত দেবপর্বত নামক স্থানে। ক্ষিরোদ নদীটির অবস্থান যেহেতু দেবিদ্বার উপজেলার বরকামতা গ্রামে’র পাশ ঘেঁসে গোমতী নদীর সাথে সংযুক্ত ছিল (বর্তমান চান্দিনা বাস স্টেশনের পার্শ্বে বাগুর গ্রামের বিলুপ্তপ্রায় খাল আকৃতিটিই ছিল প্রাচীন আমলের ক্ষিরোদ নদী)। সে কারনে ধারনা করা হচ্ছে সমতট রাজ্যের রাজধানী বর্তমান দেবিদ্বার উপজেলার বরকামতা’ই ছিল। অপরদিকে সেন বংশের অস্তিত্ব খৃষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি মিলিয়ে যায়। যদিও পরবর্তীতে এক দেব বংশের কথা এই বিক্রমপুর অঞ্চলে পাওয়া গেছে। এদের শাসন পুর্বদিকে চট্টগ্রাম থেকে পশ্চিমে কুমিল্লা ও বিক্রমপুর অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। দেব বংশের শেষ ইতিহাস কিছু পাওয়া যায়নি।

ভারতের বিশিষ্ট লেখক অতুলচন্দ্ররায় ও প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায় সংকলিত ‘ভারত বর্ষের ইতিহাস’ বইয়ে উল্লেখ করা হয়,- সাত শতক থেকে বারো শতক পর্যন্ত বর্তমান ত্রিপুরা জেলা ছিল সমতটের অন্যতম অংশ। সপ্তম শতাব্দীতে সমতটের রাজধানী ছিল ত্রিপুরা রাজ্যের কামড়া অঞ্চলে। এক সময় এ জনপদের পশ্চিম সীমা চব্বিশ পরগনার খাড়ি পরগনা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। গঙ্গা-ভাগীরথীর পূর্বতীর থেকে শুরু করে মেঘনার মোহনা পর্যন্ত সমুদ্রকূলবর্তী অঞ্চলকেই সম্ভবত বলা হতো সমতট। কুমিলা শহরের ১২ মাইল পশ্চিমে ‘বড়কামতা’ নামক স্থানটি সাত শতক’র রাজধানী ছিল। চন্দ্রবংশীয় রাজা ভবদেব কুমিল্লায় আনন্দ বিহার বা শালবন বিহার প্রতিষ্ঠা করেন। এই সময়ে বিহার এশিয়ার জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিগণিত হয়। সে সময় একে বিশ¡বিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়া হয়। বিখ্যাত চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাং আনন্দ বিহারে আসেন। তখন বিহারে চার হাজার ভিক্ষু (ছাত্র) ছিল। হিউয়েন সাং ময়নামতি অঞ্চলে ৩৫টি শিক্ষাকেন্দ্র (বিহার) দেখতে পান। তখন তিনি সমতট তথা কুমিল্লা বাসীকে প্রবল শিক্ষানুরাগী বলে আখ্যায়িত করেন। চৈনিক পরিব্রাজক হুয়েনসাং’র বর্ণনা অনুযায়ী সমতটের স্থান আমরা পাই কামরূপ’র (আসাম’র) দক্ষিনে এক নাবাল জমির এলাকা যা সমূদ্র পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এর রাজধানী ছিল কার্মান্ততে (বর্তমান বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায়)। সম্ভবত উত্তরের উঁচু এবং উঁচু-নিচু অঞ্চলের চেয়ে এই অঞ্চলের নদী বিধৌত অঞ্চল ছিল সমতল। সেই থেকে সমতট নামটি প্রচলিত হয়েছিল। এর থেকে অনুমান করা হচ্ছে সে সমতট রাষ্ট্র ছিল বাংলাদেশের কুমিল্লার টিপেরা। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় বঙ্গের নিম্নে অবস্থিত আর্দ্র অঞ্চল হিসেবে সমতট পরিচিত।

কেউ কেউ মনে করেন, বরকামতা নামটির সাথে প্রাচীন ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে। কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চল নিয়ে সমতট গঠিত হয়েছিল। আবার অনেকের মতে সমতট’র প্রাণকেন্দ্র ছিল ‘লালমাই-ময়নামতি’ এবং প্রাচীন কুমিল্লা অঞ্চলের নাম ছিল সমতট। খ্রিষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দী থেকে (কারও কারও মতে সপ্তম শতাব্দী) দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত এই জনপদের বিস্তৃতি ছিল প্রায় ৫০০ মাইল। সমতটের রাজধানী বরকামতায় দেববংশীয় শাসকগণ শাসন করতেন। কুমিল্লার আশ্রাফপুরে অবস্থিত দুটি তাম্রশাসন এবং দেউলবাড়ির মূর্তি লেখা হতে সমতটের বৌদ্ধ খড়গ রাজবংশ (৬২৫-৭২৫) সম্বন্ধে আমরা অবগত হই। এতে রাজা খড়েগদ্যম, জাত খড়গ ও দেব খড়গের নাম জানা যায়। বরকামতাকে কেন্দ্র করে চারদিকে এ নগরী বিস্তৃত ছিল। কালের পরিক্রমায় অনেক কিছু হারিয়ে গেছে। তবে রয়ে গেছে স্মৃতি। বর্তমান ময়নামতি টিলাটি ছিল এক সময়ের নৌবন্দর এবং বঙ্গপোসাগরের বিস্তুতি ছিল ময়নামতি পর্যন্ত। বরকামতার ২ কিলোমিটার উত্তর- পশ্চিমে প্রায় ২৫ ফুট উঁচু ঢিবি আছে। এর উপরে একটি শিব লিঙ্গ আছে। প্রত্নতাত্বিকদের ধারণা এটি ৭ম শতকের চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাং’র বর্ণিত স্মৃতিবিজড়িত বৌদ্বস্তুপের ধ্বংসাবশেষ হতে পারে। বরকামতার ২ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত বেলাশরে বোধিস্বত্ত আলোকিত স্বরের একটি চমৎকার প্রস্তর মূর্তি পাওয়া গেছে। ৬ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত শুভপুরে বজুপানি বোধিস্বত্তের একটি প্রমান সাইজের মূর্তি পাওয়া গেছে। শুভপুরের পার্শ¦বর্তী বিহারমন্ডলে পাওয়া গেছে‘ধনাধিপতির মূর্তি’। এর পার্শ্ববর্তী‘চরেরপাড়’ গ্রামে একটি বৌদ্বমূর্তি পাওয়া গেছে। বরকামতার ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ‘পিহর’গ্রামে মহাযানি বৌদ্ধদেবী মরীচির একটি মনোরম মূর্তি আবিষ্কার হয়েছে।

যে কারণে সমতট রাজ্যের রাজধানী খ্যাত বরকামতা ঐতিহ্যমন্ডিতঃ

রাজা-মহারাজদের অতীত ঐতিহ্যের দিক থেকে বরকামতা গ্রামটি ইতিহাস বিদদের নিকট একটি মাইল ফলক। বৃটিশ শাসনামলেও বরকামতা গ্রমটি ছিল বৃটিশ শাসকদের আতঙ্ক, তেমনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালেও পাকিস্তান শাসক গোষ্ঠীর নিকট ছিল মহাতঙ্ক। বৃটিশ শাসনামলে এ গ্রামে গড়ে উঠেছিল সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদী স্বদেশী বিপ্লবীদের ঘাঁটি। বরকামতা পানের বরজ’র জন্যও বিখ্যাত হয়ে আছে। হিন্দুঅধ্যুষিত বরকামতা গ্রামের ধনী-গরীব প্রায় প্রতিটি পরিবারই জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হিসেবে পানের বরজ’র সাথে আত্মিক সম্পর্ক রেখেছেন। বরকামতা গ্রামের নামানুসারে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ১৫নং ইউনিয়ন পরিষদ’র নাম বরকামতা ইউনিয়ন পরিষদ নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়াও কুমিল্লার বিখ্যাত খাদী শিল্পের জন্য অতীতের ন্যায় এখনো বরকামতা গ্রামটি বিখ্যাত। বর্তমানে অন্তত : ৫০টি পরিবার খাদী শিল্পের ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে।

বরকামতা ইউনিয়ন এর নামকরণ ইতিহাস বরকামতা ইউনিয়ন এর নামকরণ ইতিহাস Reviewed by sm sohage on December 04, 2018 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.