হার্ডিঞ্জ ব্রিজ বিশ্বের রেলওয়ে ব্রিজ গুলোর অন্যতম। এটি পদ্মা নদীর উপরে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী এবং কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার মধ্যে অবস্থিত। প্রথমে এ ব্রিজটি লোয়ার গ্যানজেস ব্রিজ অথবা সারা ব্রিজ নামে পরিচিত ছিল। ১৯০৮ সালে ব্রিজ নির্মানের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে একটি কারিগরি কমিটি নিয়োগ করা হয়। এই কমিটি সেতুর বর্তমান স্থান সারার সন্নিকটে সেতুর নির্মান করা যেতে পারে বলে মতামত পেশ করে। সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় ১৯১০ সালে এবং ১৯১২ সালে নির্মান কাজ শেষ হয়। ব্রিটিশ প্রকৌশলী স্যার রবার্ট জেইলস সেতু নির্মানকালে প্রধান প্রকৌশলী হিসাবে কাজ করেন। ১৯১৫ সালের ১ জানুয়ারী পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম ট্রেনটি নিম্নমুখে (অর্থাৎ খুলনা অভিমুখে) সেতুটি অতিক্রম করে এবং একই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারী উর্ধ্বমুখে (অর্থাৎ পার্বতীপুর অভিমুখে) দ্বিতীয় পরীক্ষামুলক ট্রেনটি সেতু অতিক্রম করে। শেষাবধি ১৯১৫ সালের ৪ মার্চ তারিখে তদানীন্তন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তথন তাঁর নামানুসারেই এ ব্রিজটির নামকরণ করা হয়। সেতুটির নির্মানকাজে ২৪০০০ লোক নিয়োগ করা হয়েছিল ব্যয় ছিল তৎকালীন ৩ কোটি ৫১ লক্ষ ৩২ হাজার ১ শত ৬৫ টাকা । সেতুর সর্বমোট দৈর্ঘ্য ১.৮ কিলোমিটার।
তথ্যসুত্রঃ বাংলাদেশের জেলা-উপজেলার নামকরণ ও ঐতিহ্য( মোহাম্মদ নুরুজ্জামান)।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নামকরণ ইতিহাস
Reviewed by sm sohage
on
March 27, 2019
Rating:
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments: