মাদারীপুর জেলার নদনদীর নামকরণ ও বিবরণ



আড়িয়াল খাঁ নদ

এটি পদ্মা নদীর একটি প্রধান শাখা। উনিশ শতকের শেষ দিকে আড়িয়াল খাঁ ছিল প্রধান ধারা।বর্তমানে এর শেষ প্রান্ত পলি ভরাট হয়ে মাদারিপুরের কাছে আড়িয়াল খাঁ দুটি শাখায় বিভক্ত হয়েছে বাঁ দিকের প্রবাহিত অংশ আড়িয়াল খাঁ। আর ডান দিকে টরকি নামে প্রবাহিত হচ্ছে।১৮০১ খ্রিস্টাব্দে  ঠগি দমনের লক্ষ্যে সরকারআড়িয়াল খাঁ নামক এক জমাদার নিয়োগ করেন।তিনি  যোগাযোগের সুবিধার্থে ভুবনেশ্বর নদ হতে একটি খাল খনন করে প্রাচীন পদ্মার দক্ষিণাংশের সাথে যুক্ত করে দেন।  খালটি  কালের পরিক্রমায় জলপ্রবাহের কারণে  প্রবলরূপ ধারণ করে।  তাই তার নামানুসারে এর নাম হয় আড়িয়াল খাঁ নদ।  আড়িয়াল খাঁ গতি পথে নড়িয়ার খালপালং খালভুবনেশ্বরময়নাকাটাকুমারকাইলানয়াভাঙনী প্রভৃতি নদ-নদীর মাধ্যমে পদ্মা নদীর সাথে সংযোগ রক্ষা করে চলেছে। বর্তমানে সমুদ্রগামী পদ্মার শাখাগুলোরমধ্যে মধুমতী  আড়িয়াল খাঁ নদ দুটি প্রধান। পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ ঘাট থেকে প্রায় ৫১an>. কিমি দক্ষিণ-পূর্বের পদ্মা থেকে এই শাখা নদ (আড়িয়াল খাঁপ্রবাহিত হয়ে ফরিদপুর  মাদারিপুর জেলার মধ্য দিয়ে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পূর্বভাগ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে তেতুলিয়া চ্যানেলে ঢুকেছে। নদের গতিপথ প্রায়ই আঁকাবাঁকা। নদটি ভাঙনপ্রবণ। এর ফলে অনেকজনপদ এর গর্ভে বিলীন হয়েছে। এই নদীর তীরবর্তী উল্লেখযোগ্য স্থানগুলো হলো পিঁয়াজখালীচৌধুরীহাটউৎরাইলদত্তপাড়াকবিরাজপুরলতিখোলাছবিপুরমাদারিপুর পৌরসভাঘসেরহাট বন্দর। আড়িয়াল খাঁ নদটি সারা বছর নাব্য। মার্চ-এপ্রিলে পানির প্রবাহ কম থকে।তবে বর্ষাকালে পানি প্রবাহ বেশি থাকে। তখন জুলাই-আগস্ট মাসে প্রবাহের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪হাজার ঘনমিটার/সেকেন্ড।  সময় নদে পানির গভীরতা ১২ মিটার পর্যন্ত থাকে। নদটির মোটদৈর্ঘ্য ১৬৩ কিমি। মাদারীপুর পর্যন্ত স্বাভাবিক জোয়ার-ভাটার পরিসর .৩২ মিটার। প্রস্থ ৩০০মিটার। নদটির অববাহিকার আয়তন ১৪৩৮ বর্গ কিমি।


সুত্র:/ আড়িয়াল খাঁ নদের নামকরণ / . মোহাম্মদ আমীন


মাদারীপুর জেলার নদনদীর নামকরণ ও বিবরণ মাদারীপুর জেলার নদনদীর নামকরণ ও বিবরণ Reviewed by sm sohage on July 19, 2018 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.