বিএএফ শাহীন কলেজ ঢাকা (BAF Shaheen College Dhaka) দেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
১ মার্চ ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠানটি “শাহীন স্কুল” নামে ইংরেজি মাধ্যমে স্কুল হিসেবে যাত্রা শুরু করে।১৯৬৭ সালে ইংরেজি মাধ্যমের পাশাপাশি বাংলা মাধ্যম চালু করা হয়। এরই মধ্যে শাহীন স্কুলকে “শাহীন উচ্চবিদ্যালয়” হিসেবে নামকরণ করা হয় এবং কয়েক বছরের মধ্যেই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা কর্তৃক স্বীকৃতি পায়। ১৯৭৭-৭৮ শিক্ষাবর্ষে শাহীন উচ্চবিদ্যালয়কে উচ্চমাধ্যমিক মহাবিদ্যালয়ে উন্নীত করার উদ্দেশ্যে “বিএএফ শাহীন কলেজ ঢাকা” নামকরণ করা হয়। ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে ডিগ্রি (পাস কোর্স) চালু করা হয় এবং তখন থেকে বিএএফ শাহীন কলেজ একটি ডিগ্রি কলেজ হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে ডিগ্রি অবলুপ্ত করা হয়। বর্তমানে কলেজটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নিয়মানুযায়ী শিশু শ্রেণি হতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এখানে সহপাঠ কার্যক্রম চালু আছে। কলেজটি শিক্ষা পদ্ধতি ও শৃঙ্খলার জন্য সুপরিচিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত। ২০০৬ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও টেক্সটবুক বোর্ডের শিক্ষানীতি অনুযায়ী বাংলা মাধ্যমের পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যম চালু করা হয়। দীর্ঘ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রতিষ্ঠানটি বহু প্রতিভার জন্ম দিয়েছে যাঁরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বনামধন্য হয়েছেন।
গ্রুপ ক্যাপ্টেন ভোগার ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর ঘাঁটি অফিসার-ইন-কমান্ড এবং একইসাথে সিভিল এভিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। সেই সময় পাকিস্তান বিমানবাহিনী, সেনাবহিনী, সিভিল এভিয়েশন এবং PIA(Pakistan International Airlines) এর সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানী ও উর্দু ভাষাভাষী। তাই ঢাকায় বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের সন্তানদের শিক্ষা সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের প্রয়োজনীয়তা সকলেই অনুভব করলেন। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (শিক্ষা পরিদপ্তর) এজেএম খলিল উল্লাহ, যিনি পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের লিংকন’স ইন হতে ব্যারিস্টার-এট-ল ডিগ্রি অর্জন করে ব্যারিস্টার খলিল উল্লাহ নামে অধিক সমাদৃত হন; স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পান। স্কুল প্রতিষ্ঠার এই কাজটি ছিল অত্যান্ত সাহসী পদক্ষেপ। এই পর্যায়ে স্কুলটির একটি সার্থক নাম নিয়ে বিপদে পড়তে হয়। অবশেষে সার্জেন্ট জাকারিয়া এগিয়ে এলেন একটি উপযুক্ত নাম নিয়ে। তিনি শাহীন নামটির প্রস্তাব দিলেন এবং তা সাথে সাথে গ্রহণযোগ্যতা পেল। “শাহীন” একটি উর্দু শব্দ যার অর্থ হচ্ছে ঈগল, যা বিমানবাহিনীর সাথে অত্যান্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তথ্যসুত্রঃ বিএএফ শাহীন কলেজ এর ওয়েবসাইট।
No comments: