সরকারী গোলাম হায়দার খান মহিলা কলেজ নামকরণ ইতিহাস

অবস্থান: শরীয়তপুর জেলাসদরে অবস্থিত।

অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টি নাম করণ করা হয়েছে এ দেশের শিল্প স্থাপনে অগ্রদূত, বিশিষ্ট শিল্পপতি জনাব গোলাম হায়দার খান এর নামে। জনাব হায়দার শরীয়তপুর সদর থানার শৌলপাড়া ইউনিয়নের সারেঙ্গা গ্রামে ১০ জানুয়ারি ১৯২১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা জনাব মোজাফফর খান বিশিষ্ট সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। জনাব গোলাম হায়দার খান শিশুকাল হতেই ব্যবসা অনুরাগী, সুউচ্চ মনোবলের অধিকারি ও আত্নসচেতন ছিলেন।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে তিনি কলকাতায় ব্যবসাতে সক্রিয়ভাবে যোগদান করেন।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন। অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে তিনি শিল্প ব্যবসায়ে আত্ননিয়োগ করেন। অক্লান্ত পরিশ্রম, ত্যাগ তিতিক্ষা ও চড়াই উৎরাই পেরিয়ে তিনি এদেশে বিশিষ্ট শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষি।ঠত করেন। বেংগল ফ্রেন্ডস এন্ড কোং লিঃ, ফ্রেন্ডস পেপার এন্ড কোং ও মিতালী ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। বাঙালিদের মধ্যে শিল্প স্থাপনে তিনি ফার্ষ্ট জেনারশনের সদস্য। এদেশে শিল্প বিকাশের ক্ষেত্রে তাঁর প্রচুর অবদান রয়েছে। রুগ্ন শিল্পকে চালু করার ব্যাপারে তার যথার্থ পরামর্শ সরকার কাজে লাগিয়েছেন। তিনি এফবিসিসিআই এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। অত্যন্ত ধীশক্তি সম্পন্ন এ ব্যক্তির প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কম থাকলেও নিজের বাস্তব অংশগ্রহনের মাধ্যমে শিল্প সংক্রান্ত সকল বিষয় তাঁর নখদর্পনে ছিল।
দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহেও তাঁর যথেষ্ঠ সুনাম ছিল। তিনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহ হতে ধন্যবাদ পত্রও পেয়েছেন যা শিল্পপতিদের জন্য একটি অসামান্য দৃষ্টান্ত স্বরুপ। জনাব খান ব্যক্তিগত ব্যবসা উপলক্ষে এবং ট্রেড ডেলিগেশনে এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং দূরপ্রাচ্যের বহু দেশ সফর করেছেন।
ব্যবসা পরিচালনার সাথে সাথে জনাব গোলাম হায়দার খান সমাজকল্যান ও ধর্মীয় কর্মকান্ডে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। তিনি রোটারী ক্লাব নামে আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য ছিলেন। লায়ন্সের চক্ষু হাসপাতালে তিনি সাহায্য ও দান করেছেন। দেশের বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, মসজিদে ও মাদ্রাসায় আর্থিক সাহায্য দান করেছেন। গরীব ও মেধাবী ছাত্রদের বৃত্তি ও সাহায্য প্রদান করে তাদেরকে সাবলম্বী হতে সহায়তা করেছেন। নিজ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডোমসার হাই স্কুলেও তিনি বিভিন্ন সময়ে আর্থিক সাহায্য প্রদান করেছেন।
১৯৯১ ইং সালের ২৬ এপ্রিল শুক্রবার জনাব গোলাম হায়দার খান ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যু শরীয়তপুর তথা দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। জনাব গোলাম হায়দার খানের মৃত্যুর পর তাঁর নামে শরীয়তপুরে “সরকারি গোলাম হায়দার খান মহিলা কলেজ” প্রতিষ্ঠিত হয়।
সরকারী গোলাম হায়দার খান মহিলা কলেজ নামকরণ ইতিহাস সরকারী গোলাম হায়দার খান মহিলা কলেজ নামকরণ ইতিহাস Reviewed by sm sohage on January 14, 2019 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.