অবস্থানঃ বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়ন।
পিরব:
বাংলা অভিধানে পিরব নামক কোন শব্দ নাই; এর সাথে সাদৃশ্য যুকাত পরব, পূরব ও পীর নামক শব্দ সমূহ রয়েছে। সম্ভবত: আদি পরব পূরববা পীর নামের কোন একটি শব্দ থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে গ্রামটি বর্তমান নাম পিরব। পরব অর্থ পর্ববা উৎসব, পূরব অর্থ পূর্ব।অতীতে এ ভূখন্ডের কোন বিশাল উৎসব থেকে অথবা এটা কোন প্রসিদ্ধ স্থান পূর্ব দিকস্থ হওয়ার কারণে অথবা এখানে কোন পীর সাহেবের আস্তানা থাকার কারণে গ্রামটি আদি নাম হয়ে থাকতে পারে যথাক্রমে, পরব পূরব অথবা পীর পরবতী কালে হয়েছে পিরব।
সিহালীঃ
বাংলা অভিধানে সিহালী নামক কোন শব্দ নেই; তৎপরিবর্তে সিহালীর সাথে সম্পর্ক যুক্ত শিউলি, শিয়ালী, সেহেলী শব্দ সমূহের অস্তিত্ব রয়েছে।তাই গ্রামটার আদিনাম এরুপ কোন কিছু যাবির্বতনে মাধমে সিহালীতে রুপান্তরিত হয়েছে।শিউলি শব্দের একটি অর্থ শিউলি ফুল ও গাছ এবং অপর অর্থ খেজুর রস আহরণ কারী সম্প্রদায়।সে হিসাবে বলা যায় গ্রামটার আদি নাম যদি শিউলি হয়ে থাকে তাহলে এখানে আদিতে শিউলি বাগিচা ছিল অথবা খেজুরর সসংগ্রহ কারী সম্প্রদায়ের বাস স্থান ছিলো।আর আদি নাম শিয়ালী হয়ে থাকলে এখানে আদি কালে শিয়া ধমীয় মুসলমানদের বাসস্থান অথবা শিয়াল পশুর চারণ ভুমি ছিলো। ফার্সী সেহেলী শব্দের অর্থ বান্ধবী।সেই অর্থে আদি নাম সেহেলী হয়ে থাকলে সখী-বান্ধবী সম্পর্ক যুক্ত কোন বিষয়্ এর সাথে জড়িত।সিহালী গ্রামটি পিরব ইউনিয়নের একটি প্রাচীনতম গ্রাম।
সৈয়দপুরঃ
সৈয়দপুর নামটাই সাক্ষ্য দিচ্ছে, গ্রাম খানি কোন সৈয়দ পদবী ধালী বানামধারীসম্পকযুক্ত।সৈয়দ নাম ধারী বা পদবী যুক্ত কোন ব্যাক্তি বাস স্থান নিমাণ দ্বারা অথবা জোত স্থাপন দ্বারা এমৌজার সূচনা ঘটে ছিল। সেই কারণহেতু গ্রামের নাম করণ হয়েছে তা নিশ্চিত রূপে বলা যায়।
ভাটরাঃ
ভাট অথ বন্দী, স্ততি পাঠক, পন্ডিত ইত্যাদি। সম্ভবত: গ্রাম টা আদিনা মঠিল ভাটরা পাড়া যা বিবতনের মাধমে ভাটরা রূপে পরিণত হয়েছে।সেই হিসাবে বলা যায় গ্রামের প্রতিষ্ঠালগ্নে এখানে পন্ডিত ব্যক্তিবগ অথবা স্তুতিশাস্ত্র পাঠকারী অথবা আবাস ছিল।
চাপচিলঃ
প্রাচীন কাব্য সাহিত্যে চম্পহট্রি নামে যে গ্রামের নামো ল্লেখ রয়েছে সম্ভবতঃ সে টাই বতর্মানে চাপাচিল গ্রাম।চম্পাহট্রি অথ চাপা গাছ তলায় হাট। এ থেকে অনুমান করা যায় আদিতে এখানে চাপা গাছ সংলগ্ন কোন হাট বা বাজার ছিল।
বকঠোটাঃ
গ্রামটা এখন যেখানে অবস্তিত সম্ভবতঃ অতীতে সেখান কার জলাশয় বা জমিতে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে প্রচুর বক পক্ষীর আগমন ঘটত। এই বক গুলিয খন উধমুখ হয়ে বসে থাকত, তখন দূর থেকে শুধুমাত্র তাদের ঠোঁট সমূহ দৃষ্টি গোচরহত এই থেকেই সম্ভবতঃ এই ভূখ ন্রেনাম হয়ে ছিল বকঠোটা।
দাইমুল্যা:
সম্ভবত: গ্রাম টাতে আদি বাসিন্দা দায়েম উল্লাহ নামক কোন ব্যক্তির নাম অনুসারে গ্রামের নামকরণ।
ভালুখালি:
অতীতে ভালুকা বাশেঁর ঝোপ থেকে স্থান টার নাম হয়ে ছিল ভালুকাল। এ নাম টাই বর্তমানে ভালুখালী।
সোনাকান্দী:
কান্দি বলতে কোন জেলায় গ্রাম বা পাড়া এবং কোন জেরায উচু জমি বা জমির পাড় বোঝায়।তাই বলা যায় সোনালী ধান গাছ পূণ উঁচু জমি দশনে জায়টার নাম থাকতে পারে সোনাকান্দি।
মীরপুরঃ
নামকরণ থেকে সুস্পষ্ট ধারণা করা যাচ্ছে এখানে সেকালে মীর পদবীযুক্ত লোকের নিবাস জমিজমা ছিল।
মগইলঃ
মগইল শব্দটি সম্ভবতঃ মোগল নামক শব্দের অপভ্রংশ। যুদ্ধ যাত্রাকালীন মোগল বাহিনী কতৃক এখানে শিবির স্থপান থেকে হয়ত তবা এর নামকরণ মগইল।
পালিকান্দাঃ
গ্রামটির আদি নাম ছিল সম্ভবতঃ পলিকন্দ অথবা পলিকাদা। কন্দ অথ মৃত্তিকা মধ্যস্থ উদ্ভিদ। এখানকার পলিমাটিতে উৎপন্ন কন্দ জাতীয় উদ্ভিদের ব্যাপক ফলন থেকে গ্রামটির আদি নাম পলিকন্দ হয়ে থাকতে পারে । আর য়দি আদিনাম পলিকান্দা হয়ে থাকে তাহলে এর কমমাক্ত পলিমাটির কারণে পলিকাদা নামকরণ হওয়া স্বাভাবিক। এই পলিকন্দ বা পলিকাদা থেকেই গ্রামটির েনাম হয়ে যায় পালিকান্দা।
আশরাফপুরঃ
আশরাফ অথ অভিজাত। অভিজাত বংশীয় অথবা আশরাফ নামধারী কোন ব্যক্তির নামকরণের থেকে গ্রামটি নাম আশরাফপুর।
সিদ্দিপুরঃ
সিদ্ধিপুর নামটা বিকৃত হয়ে গ্রামটার বতমান নাম সিদ্দিপুর হওয়ার সম্ভবনা মতকরা একশত ভাগ। সম্ভবতঃ অতীতে এখানে সাধু- সন্তের সাধন কেন্দ্র ছিল।
তথ্যসুত্রঃ জেলা তথ্য বাতায়ন, বগুড়া।
পিরব:
বাংলা অভিধানে পিরব নামক কোন শব্দ নাই; এর সাথে সাদৃশ্য যুকাত পরব, পূরব ও পীর নামক শব্দ সমূহ রয়েছে। সম্ভবত: আদি পরব পূরববা পীর নামের কোন একটি শব্দ থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে গ্রামটি বর্তমান নাম পিরব। পরব অর্থ পর্ববা উৎসব, পূরব অর্থ পূর্ব।অতীতে এ ভূখন্ডের কোন বিশাল উৎসব থেকে অথবা এটা কোন প্রসিদ্ধ স্থান পূর্ব দিকস্থ হওয়ার কারণে অথবা এখানে কোন পীর সাহেবের আস্তানা থাকার কারণে গ্রামটি আদি নাম হয়ে থাকতে পারে যথাক্রমে, পরব পূরব অথবা পীর পরবতী কালে হয়েছে পিরব।
সিহালীঃ
বাংলা অভিধানে সিহালী নামক কোন শব্দ নেই; তৎপরিবর্তে সিহালীর সাথে সম্পর্ক যুক্ত শিউলি, শিয়ালী, সেহেলী শব্দ সমূহের অস্তিত্ব রয়েছে।তাই গ্রামটার আদিনাম এরুপ কোন কিছু যাবির্বতনে মাধমে সিহালীতে রুপান্তরিত হয়েছে।শিউলি শব্দের একটি অর্থ শিউলি ফুল ও গাছ এবং অপর অর্থ খেজুর রস আহরণ কারী সম্প্রদায়।সে হিসাবে বলা যায় গ্রামটার আদি নাম যদি শিউলি হয়ে থাকে তাহলে এখানে আদিতে শিউলি বাগিচা ছিল অথবা খেজুরর সসংগ্রহ কারী সম্প্রদায়ের বাস স্থান ছিলো।আর আদি নাম শিয়ালী হয়ে থাকলে এখানে আদি কালে শিয়া ধমীয় মুসলমানদের বাসস্থান অথবা শিয়াল পশুর চারণ ভুমি ছিলো। ফার্সী সেহেলী শব্দের অর্থ বান্ধবী।সেই অর্থে আদি নাম সেহেলী হয়ে থাকলে সখী-বান্ধবী সম্পর্ক যুক্ত কোন বিষয়্ এর সাথে জড়িত।সিহালী গ্রামটি পিরব ইউনিয়নের একটি প্রাচীনতম গ্রাম।
সৈয়দপুরঃ
সৈয়দপুর নামটাই সাক্ষ্য দিচ্ছে, গ্রাম খানি কোন সৈয়দ পদবী ধালী বানামধারীসম্পকযুক্ত।সৈয়দ নাম ধারী বা পদবী যুক্ত কোন ব্যাক্তি বাস স্থান নিমাণ দ্বারা অথবা জোত স্থাপন দ্বারা এমৌজার সূচনা ঘটে ছিল। সেই কারণহেতু গ্রামের নাম করণ হয়েছে তা নিশ্চিত রূপে বলা যায়।
ভাটরাঃ
ভাট অথ বন্দী, স্ততি পাঠক, পন্ডিত ইত্যাদি। সম্ভবত: গ্রাম টা আদিনা মঠিল ভাটরা পাড়া যা বিবতনের মাধমে ভাটরা রূপে পরিণত হয়েছে।সেই হিসাবে বলা যায় গ্রামের প্রতিষ্ঠালগ্নে এখানে পন্ডিত ব্যক্তিবগ অথবা স্তুতিশাস্ত্র পাঠকারী অথবা আবাস ছিল।
চাপচিলঃ
প্রাচীন কাব্য সাহিত্যে চম্পহট্রি নামে যে গ্রামের নামো ল্লেখ রয়েছে সম্ভবতঃ সে টাই বতর্মানে চাপাচিল গ্রাম।চম্পাহট্রি অথ চাপা গাছ তলায় হাট। এ থেকে অনুমান করা যায় আদিতে এখানে চাপা গাছ সংলগ্ন কোন হাট বা বাজার ছিল।
বকঠোটাঃ
গ্রামটা এখন যেখানে অবস্তিত সম্ভবতঃ অতীতে সেখান কার জলাশয় বা জমিতে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে প্রচুর বক পক্ষীর আগমন ঘটত। এই বক গুলিয খন উধমুখ হয়ে বসে থাকত, তখন দূর থেকে শুধুমাত্র তাদের ঠোঁট সমূহ দৃষ্টি গোচরহত এই থেকেই সম্ভবতঃ এই ভূখ ন্রেনাম হয়ে ছিল বকঠোটা।
দাইমুল্যা:
সম্ভবত: গ্রাম টাতে আদি বাসিন্দা দায়েম উল্লাহ নামক কোন ব্যক্তির নাম অনুসারে গ্রামের নামকরণ।
ভালুখালি:
অতীতে ভালুকা বাশেঁর ঝোপ থেকে স্থান টার নাম হয়ে ছিল ভালুকাল। এ নাম টাই বর্তমানে ভালুখালী।
সোনাকান্দী:
কান্দি বলতে কোন জেলায় গ্রাম বা পাড়া এবং কোন জেরায উচু জমি বা জমির পাড় বোঝায়।তাই বলা যায় সোনালী ধান গাছ পূণ উঁচু জমি দশনে জায়টার নাম থাকতে পারে সোনাকান্দি।
মীরপুরঃ
নামকরণ থেকে সুস্পষ্ট ধারণা করা যাচ্ছে এখানে সেকালে মীর পদবীযুক্ত লোকের নিবাস জমিজমা ছিল।
মগইলঃ
মগইল শব্দটি সম্ভবতঃ মোগল নামক শব্দের অপভ্রংশ। যুদ্ধ যাত্রাকালীন মোগল বাহিনী কতৃক এখানে শিবির স্থপান থেকে হয়ত তবা এর নামকরণ মগইল।
পালিকান্দাঃ
গ্রামটির আদি নাম ছিল সম্ভবতঃ পলিকন্দ অথবা পলিকাদা। কন্দ অথ মৃত্তিকা মধ্যস্থ উদ্ভিদ। এখানকার পলিমাটিতে উৎপন্ন কন্দ জাতীয় উদ্ভিদের ব্যাপক ফলন থেকে গ্রামটির আদি নাম পলিকন্দ হয়ে থাকতে পারে । আর য়দি আদিনাম পলিকান্দা হয়ে থাকে তাহলে এর কমমাক্ত পলিমাটির কারণে পলিকাদা নামকরণ হওয়া স্বাভাবিক। এই পলিকন্দ বা পলিকাদা থেকেই গ্রামটির েনাম হয়ে যায় পালিকান্দা।
আশরাফপুরঃ
আশরাফ অথ অভিজাত। অভিজাত বংশীয় অথবা আশরাফ নামধারী কোন ব্যক্তির নামকরণের থেকে গ্রামটি নাম আশরাফপুর।
সিদ্দিপুরঃ
সিদ্ধিপুর নামটা বিকৃত হয়ে গ্রামটার বতমান নাম সিদ্দিপুর হওয়ার সম্ভবনা মতকরা একশত ভাগ। সম্ভবতঃ অতীতে এখানে সাধু- সন্তের সাধন কেন্দ্র ছিল।
তথ্যসুত্রঃ জেলা তথ্য বাতায়ন, বগুড়া।
পিরব ইউনিয়ন ও এর বিভিন্ন গ্রামের নামকরণ
Reviewed by sm sohage
on
September 04, 2018
Rating:
No comments: