Results for জেলা ও উপজেলা নামকরণ

মেহেরপুর জেলা ও এর উপজেলা সমূহের নামকরণের ইতিহাস

August 01, 2018

মেহেরপুর নামকরণ সম্পর্কে এ পর্যন্ত দুটি অনুমানসিদ্ধ তথ্য আমরা জানা যায়। একটি হচ্ছে ইসলাম প্রচারক দরবেশ মেহের আলী নামীয় জনৈক ব্যক্তির নামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ষোড়শ শতকের অথরা তার কিছুকাল পরে মেহেরপুর নামকরণের সৃষ্টি হয়েছে। এ অঞ্চলে মুসলিম শাসনের সূত্রপাত হতেই ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু হয়েছিল। বৃহত্তর কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বারোবাজার, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর সহ প্রভৃতি অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ইসলাম প্রচার শুরু করেন হযরত খাঁন জাহান আলী (রাঃ)। পীর খান জাহান আলী গৌড় থেকে ভৈরব নদী পথে মেহেরপুর হয়ে বারোবাজার গিয়ে বাগেরহাট গিয়েছিলেন। তার সাথে সেই সময়ে ৩৬০ জন দরবেশ ও ৬০ হাজার সৈন্য ছিল বলে কথিত আছে। তিনি সমগ্র দক্ষিণাঞ্চরে ইসলামের বিজয় পতাকা উত্তোলন করে জনবসতি ও শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেন। এ অঞ্চলে ঐ একই সময়েই বেশ কয়েকজন ইসলামের ঝান্ডাবাহক আল্লাহর পরম আশীর্বাদপুষ্ট ব্যক্তিত্বের আগমন ঘটে। শাহ ভালাই, শাহ আলাই ও এনায়েত উল্লাহর নাম উল্লেখযোগ্য। পুণ্য আত্না ইসলামের ঝান্ডাবাহক দরবেশ মেহের আলী শাহ-এর নামের সাথে সঙ্গতি রেখে মেহেরপুর নামকরণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যতদূর জানা যায় তাতে মেহের আলী অত্যন্ত প্রভাবশালী খ্যাতিমান আধ্যাত্নিক ব্যক্তি হিসাবে সুপরিচিত ছিলেন। যার ফলে তাঁর নামের প্রাধান্য পেয়ে যায়। মেহেরপুর নামকরণের উৎপত্তি সম্পর্কে দ্বিতীয় দিকটি এখানে উল্লেখ্য, পূর্ববঙ্গ রেলওয়ের বাংলায় ভ্রমণ গ্রন্থে বিখ্যাত বচনকার মিহির ও তাঁর নিজের পুত্রবধু খনা (খনার বচন বিখ্যাত) ভৈরব নদীর তীরস্থ এ অঞ্চলে বাস করতেন। তার নামানুসারে প্রথমে মিহিরপুর এবং পরবর্তীতে অপভ্রংশে মেহেরপুর নামকরণ হয়েছে বলে অনুমান করা হয়।


মেহেরপুর জেলার উপজেলা সমুহঃ  মুজিবনগর, মেহেরপুর সদর, গাংনী।

মুজিবনগর উপজেলা
মুজিবনগর  এর  পুর্ব  নাম বৈদ্যনাথতলা। উপজেলার নামকরণে  সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে জানা যায় যে ১৯৭১ সনে  মুক্তিযুদ্ধের  সময়  প্রসিদ্ধ  বৈদ্যনাথতলা  আম্র কাননে   বাংলাদেশের অস্থায়ী  সরকারের  হেডকোয়াটার্স স্থাপিত হয়  এবং ১৭ এপ্রিল    স্থলেই  অস্থায়ী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ শপথ গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু  শেখ  মুজিবুর  রহমানকে  অস্থায়ী সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি  ঘোষণা করা হয়। ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নামের  সাথে মিল রেখে এ স্থানের নামকরণ করা হয় মুজিবনগর। 
গাংনী উপজেলা
গাংনী নামের সাথে যুক্ত হয়ে আছে এ অঞ্চলের ভৌগলিক পরিবেশের পরিচয়। গাংনী পদটিই এখানে প্রধান। নদী বা নদীর মৃতপ্র
ায় ধারাকে এ এলাকার মানুষ গাং বা গাঙ বলে। অনুমান করা হয় যে, গাঙ্গেয় অববাহিকার এ এলাকায় প্রথম বসতি স্থাপনকারী মানুষেরা অন্যদের বসবাসে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ‘এ এলাকায় গাং অর্থাৎ নদী নেই’- এমন ঘোষণা দেয়। ‘গাং নেই’পরবর্তীতে হয়ে যায়- ‘গাংনী’।  এ এলাকার মানুষেরা নেই বুঝাতে ‘নি’উচ্চারণ করে। গাংনী নামকরণে ভিন্ন আর একটি যুক্তিও পাওয়া যায়। পশ্চিমে কাজলা নদী এবং পূর্বে মাথাভাঙ্গা নদীর মধ্যবর্তী দোয়ার অঞ্চলে এ থানার অবস্থান। সেই অর্থে এ নদীর প্রধান উৎস গঙ্গা। গঙ্গার কন্যা মনে করার কারণে খরস্রোতা মাথাভাঙ্গাকে একসময় এ এলাকার মানুষ ‘গাংগীনি’ বলে ডাকত। গাংগীনি থেকে গাঙ্গনী বা গাংনী শব্দের উৎপত্তি।  গাংনী নামকরণে মুলতঃ এ অঞ্চলের নদী সম্পৃক্ততার পরিচয় ফুটে উঠেছে।


মেহেরপুর জেলা ও এর উপজেলা সমূহের নামকরণের ইতিহাস মেহেরপুর জেলা ও এর উপজেলা সমূহের নামকরণের ইতিহাস Reviewed by sm sohage on August 01, 2018 Rating: 5

মানিকগঞ্জ জেলা ও এর উপজেলা সমুহের নামকরণ ইতিহাস

August 01, 2018

মূরত সংস্কৃত ‘মানিক্য’ শব্দ থেকে মানিক শব্দটি এসেছে। মানিক হচ্ছে চুনি পদ্মরাগ। গঞ্জ শব্দটি ফরাসী। মানিকগঞ্জের নামের ঋৎপত্তি ইতিহাস আজও রহস্যবৃত। অষ্টাদশ শতকের প্রথমার্ধে সুফি দরবেশ মানিক শাহ সিংগাইর উপজেলার মানিকনগরে আসেন এবং খানকা প্রতিষ্ঠা করে ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু করেন।কারও মতে দূর্ধর্ষ পাঠান সর্দার মানিক ঢালীর নামানুসারে মানিকগঞ্জ নামের উৎপত্তি। আবার কারো মতে, নবাব সিরাজ উদ-দৌলার বিশাবাস ঘাতক মানিক চাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তার নমানুসারে ১৮৪৫ সালের মে মাসে মানিকগঞ্জ মহকুমার নামকরণ হয়। মানিকগঞ্জ মহকুমার নামকরণ সম্পর্কীত উল্লেখ্য তিনটি পৃথক স্থানীয় জনশ্রুতি এবং অনুমান নির্ভর। এর কোন ঐতিহাসিক ভিত্তি পাওয়া যায়নি, তবে মানিক শাহের নামানুসারে মানিকগঞ্জ মহকুমার নামকরণ সম্পর্কীত জনশ্রুতি এবং ঘটনা প্রবাহ থেকে যে চিত্র পাওয়া যায় তাই সঠিক বলে ধরা হয়।
মানিকগঞ্জ জেলার উপজেলা সমুহঃ হরিরামপুর, সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ সদর, ঘিওর, শিবালয়, দৌলতপুর, সিংগাইর।
হরিরামপুর উপজেলাঃ
জনশ্রুতি আছে, প্রায় দুশো বছর পূর্বে সম্ভ্রান্ত ও প্রভাবশালী শ্রী হরিশচন্দ্র রায় এ অঞ্চলে বাস করতেন। অনেকের মতে হরিশচন্দ্রের নামানুসারে জনপদের নাম হয় হরিরামপুর।
সাটুরিয়া উপজেলাঃ
সাটুরিয়ার নামকরণ সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
ঘিওর উপজেলাঃ
কিংবদন্তীতে রয়েছে, এ অঞ্চল খাঁটি ঘি-এর জন্য সুপ্রসিদ্ধ ছিল। অনেকে মনে করেন এ্ ঘি শব্দ হতে ঘিওর নামের উদ্ভব। প্রথমে ঘিওর ছিল একটি মৌজার নাম, এখানে থানা সদর স্থাপিত হলে থানার নামকরণ হয় মৌজার নামে ঘিওর।
শিবালয় উপজেলা
শিবালয় উপজেলার নামকরনের ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা যায় যে, অত্র এলাকায় মহাদেব শিবের আলয় (মন্দির) অবস্থিত ছিল।  শিব+আলয়= শিবালয়, এই নামে অত্র এলাকায় একটি মৌজা ছিল। উক্ত শিব মন্দিরের (আলয়) নাম অনুসারে উক্ত মৌজার নাম শিবালয় করা হয়।
দৌলতপুর উপজেলাঃ
দৌলতপুরের পূর্ব নাম ছিল গোবিন্দগঞ্জ।এটি ছিল একটি বর্ধিঞ্চু গ্রাম এবং এই গ্রাম গিরি-গোবিন্দ মুর্তির জন্য ব্যিখাত ছিল। এই গিরি গোবিন্দ মুর্তির জন্য নাম হয় গোবিন্দপুর। পরবর্তীতে দরবেশ দৌলতকাজীর নামানুসারে নাম দৌলতপুর রাখা হয়। দরবেশ দৌলতগাজী মুসলমান শাসনামলে এই অঞ্চলে আগমন করেছিলেন বলে জনশ্রুতি আছে।
সিংগাইর উপজেলাঃ
এ উপজেলার নামকরণ সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।  

মানিকগঞ্জ জেলা ও এর উপজেলা সমুহের নামকরণ ইতিহাস মানিকগঞ্জ জেলা ও এর উপজেলা সমুহের নামকরণ ইতিহাস Reviewed by sm sohage on August 01, 2018 Rating: 5

মাদারীপুর জেলা ও এর উপজেলা সমুহের নামকরণের ইতিহাস

August 01, 2018
পঞ্চদশ শতাব্দীর সুফি সাধক হযরত বদিউদ্দীন জিন্দা শাহ মাদার (রঃ) এর নাম অনুসারে মাদারিপুর জেলার নামকরণ করা হয়।


মাদারীপুর জেলার উপজেলা সমুহঃ  মাদারীপুর সদর, শিবচর, কালকিনি, রাজৈর।


শিবচর উপজেলাঃ 
শিব শংকর নামের একজন ধার্মিক ব্যক্তি ওই এলাকায় প্রসিদ্ধ ব্রাক্ষ্মণ ছিলেন।  তার নামানুসারে শিবচর নামকরণ হয়ে থাকতে পারে।

কালকিনি উপজেলাঃ

এর নামকরণের সঠিক ইতিহাস জানা যায়নি।  থানা প্রতিষ্ঠার সময় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মি. কালকোনি। সম্ভবত তারই নামানুসারে কালকিনি উপজেলার নামকরণ করা হয়।  

রাজৈর উপজেলাঃ
রাজৈর হয়ে একটি খাল প্রাচীন কালে কোটালীপাড়ায় সামুদ্রিক বন্দরের সাথে সংযুক্ত হয়। সেই খালের নাম সেন খাল। ইংরেজ আমলে নীল চাষের জন্য তারা কুটির নির্মাণ করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মগদের অত্যাচারে এ অঞ্চল জনশূন্য হয় এবং বন জঙ্গলে পরিণত হয়। উজনীর রাজাদের নিকট হতে ফতেজঙ্গপুর পরগনার জমিদারিত্ব প্রাপ্ত হয় রাজা রাম রায়। রাজা রাম রায় রাজ কর্মচারীরা ঐতি মোহনায় তাদের আস্তানা গড়ে। এখানেই এ অঞ্চলের পূর্বাপর রাজাদের বিশ্রাম এর স্থান হিসাবে এ অঞ্চলের নামকরণ করা হয় রাজৈর।




তথ্যসুত্রঃ জেলা তথ্য বাতায়ন ও বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা : মাদারীপুর (বাংলা একাডেমী)।

মাদারীপুর জেলা ও এর উপজেলা সমুহের নামকরণের ইতিহাস মাদারীপুর জেলা ও এর উপজেলা সমুহের নামকরণের ইতিহাস Reviewed by sm sohage on August 01, 2018 Rating: 5

লক্ষ্মীপুর জেলা ও এর উপজেলা সমূহের নামকরণের ইতিহাস

August 01, 2018

লক্ষ্মীপুর নামকরণ হয়েছে তা নিয়ে কয়েকটি মতপ্রচলিত রয়েছে। লক্ষ্মী, ধন-সম্পদ ও সৌভাগ্যের দেবী (দূর্গা কন্যা ও বিষ্ণু পত্মী) এবং পুর হলো শহর বা নগর। এ হিসাবে লক্ষ্মীপুর এর সাধারণ অর্থ দাঁড়ায় সম্পদ সমৃদ্ধ শহর বা সৌভাগ্যের নগরী। ঐতিহাসিক কৈলাশ চন্দ্র সিংহ রাজমালা বা ‘ত্রিপুরার ইতিহাস লিখতে গিয়ে তৎকালীন নোয়াখালীর পরগণা ও মহালগুলোর নাম উল্লেখ করেছেন। এতে দেখা যায়, বাঞ্চানগর ও সমসেরাবাদ মৌজার পশ্চিমে ‘লক্ষ্মীপুর নামে একটি মৌজা ছিল। আজকের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর মৌজাই তৎকালীন লক্ষ্মীপুর মৌজা। আবার অন্যমতে, সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহ সুজা আরাকান পলায়নের সময় ১৬২০ খ্রিস্টাব্দের ৬ মে ঢাকা ত্যাগ করেন। তিনি ধাপা ও শ্রীপুর হয়ে ৯ মে ‘লক্ষ্মীদাহ পরগনা ত্যাগ করে ভূলুয়া দূর্গের ৮ মাইলের মধ্যে আসেন। ১২ মে ভূলুয়া দূর্গ জয় করতে না পেরে আরাকান চলে যান। সেই লক্ষ্মীদাহ পরগনা থেকে লক্ষ্মীপুর নামকরণ করা হয়েছে বলে কেউ কেউ ধারণ করেন। লক্ষ্মীপুর শহরের পূর্ব পাশে শাহ সুজার নামানুসারে একটি সড়কের নামকরণ করা হয় ‘সুজা বাদশা সড়ক।  বিখ্যাত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক সানা উল্লাহ নূরী ‘সুজা বাদশা সড়ক নামে একটি ইতিহাস গ্রন্থও রচনা করেছেন। ১৬১৪ খ্রিস্টাব্দে মগ ও ফিরিংগীদের মিলিত বাহিনী ভূলুয়া, ভবানীগঞ্জ ও ইসলামাবাদ আগুন দিয়ে পুড়ে দেয়। স্যার যদুনাথ সরকার এ সংক্রান্ত বর্ণনায় লিখেছেন, ইসলামাবাদ চাটগাঁ শহর নয়। ভূলুয়ার পশ্চিমে একটি দূর্গ সমৃদ্ধ শহর। ঐতিহাসিক ড. বোরাহ ইসলামাবাদকে লক্ষ্মীপুর বলে ধারণা করেছেন। এভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যে, তৎকালীন লক্ষ্মীপুর মৌজার অংশ মেঘনা পাড়ের দুর্গ সমৃদ্ধ কামানখোলাই ইসলামাবাদ নামের মগ ও ফিরিংগীদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল। শ্রী সুরেশ চন্দ্রনাথ মুজমদার ‘রাজপুরুষ যোগীবংশ নামক গবেষনামূলক গ্রন্থে লিখেছেন দালাল বাজারের জমিদার রাজা গৌর কিশোর রায় চৌধুরী ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী থেকে রাজা উপাধি পেয়েছেন। তাঁর পূর্বপুরুষরা ১৬২৯-১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দালাল বাজার আসেন। তাঁর বংশের প্রথম পুরুষের নাম লক্ষ্মী নারায়ন রায় (বৈষ্ণব) এবং রাজা গৌর কিশোরের স্ত্রীর নাম লক্ষ্মী প্রিয়া।  অনেক ঐতিহাসিকের মতে, লক্ষ্মী নারায়ন রায় বা লক্ষ্মী প্রিয়ার নাম অনুসারে লক্ষ্মীপুরের নামকরণ করা হয়।

কমলনগর উপজেলাঃ

এ উপজেলার নামকরণ সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। 

রায়
পুর উপজেলাঃ
এ উপজেলার নামকরণ নিয়ে তিনটি ভিন্ন মত প্রচলিত আছে। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার ভাটটুরিয়ার দেবীকোটের রাজ পরিবারের ভ্রাতৃকলহে বানরাজা এ অঞ্চলে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। বানরাজা ‘দেবীকোট থেকে আসায় দেবীকোটের নামানুসারে কালক্রমে দেবীকোট থেকে আজকের দেবিদ্বারের নামকরণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ভিন্ন কথাও রয়েছে অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে বৃটিশ শাসনামলে বৃটিশ ক্যাপ্টেন জন ডেভিড ত্রীপুরার চিতনা নামক স্থান থেকে একটি নৌবহর নিয়ে গোমতী নদী পথে ঢাকা যাওয়ার সময় বর্তমান রায়পুরের ভিংলাবাড়ি নামক স্থানে বানরাজার সৈন্যদের সাথে ক্যাপ্টেন ডেভিড তার সৈন্যদের নিয়ে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় এ যুদ্ধের নাম ডেভিড ওয়ার (ডেভিড যুদ্ধ) নামে পরিচিতি লাভ করে। পরবর্তীতে ওই নামানুসারে ডেভিড ওয়ার থেকে আজকের রায়পুর নামে পরিচিতি লাভ করে।
রামগতি উপজেলাঃ
বিভিন্ন জ্ঞানী প্রবীণ  এবং বিভিন্ন সূত্র মতে বর্তমান মেঘান নদীর উপকূলীয় উপজেলা রামগত নামক স্থানে রামকৃষ্ণ নামের এক ব্যক্তির আড়ৎ বা গদি ছিল। ক্রমে এই স্থানটি রামের গদি নামে পরিচিত হতে থাকে। পরবর্তীতে রামের গদি নামটি বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় রামগতি হিসাবে রূপান্তরিত হয়। রামগতি থানা বড়খেরী ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে নদী ভাঙ্গন জনিত কারণে ১৯৮২ সালে বর্তমান স্থানে স্থানান্তরতি করা হয়।
রামগঞ্জ ‍উপজেলাঃ
রাম নামক একজন প্রভাবশালী স্থানীয় ধর্মীয় নেতার নামানুসারে রামগঞ্জের নামকরন করা হয়। 








লক্ষ্মীপুর জেলা ও এর উপজেলা সমূহের নামকরণের ইতিহাস লক্ষ্মীপুর জেলা ও এর উপজেলা সমূহের নামকরণের ইতিহাস Reviewed by sm sohage on August 01, 2018 Rating: 5

কুড়িগ্রাম জেলা ও এর উপজেলা সমূহের নামকরণের ইতিহাস

August 01, 2018
কুড়িগ্রাম জেলা ও এর উপজেলা সমূহের নামকরণের ইতিহাস কুড়িগ্রাম জেলা ও এর উপজেলা সমূহের নামকরণের ইতিহাস Reviewed by sm sohage on August 01, 2018 Rating: 5

খাগড়াছড়ি জেলা ও এর উপজেলা সমূহের নামকরণের ইতিহাস

August 01, 2018

১৮৬০ সালে রেম্নচাই চৌধুরী এই শহরে গোড়াপত্তন করেন। খাগড়াছড়ি জেলার নামকরণ সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে একটিতথ্য জানা যায়, জেলার প্রধান কার্যালয়টি অসংখ্য খাগড়া গাছে পরিপূর্ণ চেংড়িস্ট্রিম বা চেংগী স্ট্রিম বা ছাড়ার তীরে ছিল।এই খাগরা গাছের নাম থেকে খাগড়া আর ছড়ার থেকে ছড়ি শব্দটি যুক্ত হয়ে খাগড়াছড়ি।

খাগড়াছড়ি জেলার উপজেলা সমুহঃ  খাগড়াছড়ি সদর, দিঘীনালা, পানছড়ি, লক্ষীছড়ি, মহালছড়ি, মানিকছড়ি, রামগড়, মাটিরাঙ্গা, গুইমারা।

দীঘিনালা উপজেলা
দীঘিনালা-বাবুছড়া রোডের বড়াদম এলাকায় ১৬শ শতাব্দীতে তৎকালীন ত্রিপুরা রাজ্যের মহারাজ এলাকাবাসীর সুপেয় পানির উৎস্যের জন্য একটি দীঘি খনন করেন।  চতুর্দিকের অসংখ্য নালা এবং এই দীঘির কারনেই দীঘিনালা নামের উৎপত্তি বলে জানা যায়।
পানছড়ি উপজেলা
জন শ্রুতি আছে এখানে এক সময় প্রচুর পান চাষ হতো।  পান চাষের এলাকা হিসাবে এটি তখনকার সময় পানছড়ি নাম ধারণ করে বলে জানা যায়।
লক্ষীছড়ি উপজেলা
এ উপজেলার নামকরণ সম্পর্কে তেমন কিছু জানা না গেলেও ছড়ি শব্দের অর্থ প্রভাবিত হওয়া বুঝানো হয় এবং লক্ষীছড়ি উপজেলা সদরে লক্ষী পূজার প্রচলন ছিল বলেও এ থেকে নামকরণ করা হয়ে  থাকতে পারে বলে অনেকের ধারণা।  এ ছাড়া উপজেলা সদরে অবস্থিত লক্ষীছড়ি মেৌজার নামানুসারেও উপজেলার নাম লক্ষীছড়ি হয়ে থাকতে পারে।
মহালছড়ি উপজেলা
মহালছড়ি থানার নামকরন সম্পর্কে স্থানীয়ভাবে দুটি অভিমত রয়েছে। প্রথমটি হলো: অতীতে ত্রিপুরা রাজন্যবর্গের রাজত্বকালে এ অঞ্চলের রাজস্ব আদায়ের জন্য একটি মহাল স্থাপিত হয়েছিল।ত্রিপুরা ভাষায় রাজস্ব আদায়ের অফিসকে মহাল বলা হয়।  এ মহাল থেকে মহালছড়ি নামের উৎপত্তি।

মানিকছড়ি উপজেলাঃ
কিংবদন্তী থেকে জানা যায়, অতীতে এই অঞ্চলের একটি পাহাড়ি খালে (ছড়া) মাণিক পাওয়া যেতো।  এই মানিক ছড়ি মিলে এখানকার নাম হয়েছে মানিকছড়ি।
রামগড় উপজেলাঃ
পূর্বে রামগড় পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি মহকুমা ছিল। কথিত আছে, এক সময় এখানে রামসাধু নামে এক সন্নাসী এখানকার একটি কুড়েঘরে বাস করতেন। মনে করা হয়,  রাম ও ঘর শব্দ দুটি থেকে কালক্রমে এই জায়গার নাম রাঘর > রামগড়। আবার স্থানীয় ইতিহাসবিদদের মতে, জনৈক রামচন্দ্র নারায়ণের নির্মিত গড়ের নামানুসারে এই অঞ্চলের নাম রামগড় হয়েছে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলাঃ
সাধারণভাবে ধারনা করা হয়, এই অঞ্চলের মাটি রক্তিম বর্ণের অর্থাৎ রাঙ্গা। এই রাঙা বর্ণের মাটির কারণ এই জায়গাকে মাটিরাঙা বলে অভিহিত করা হয়।
গুইমারা উপজেলাঃ
গুইমারা উপজেলার নামকরণ বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।


খাগড়াছড়ি জেলা ও এর উপজেলা সমূহের নামকরণের ইতিহাস খাগড়াছড়ি জেলা ও এর উপজেলা সমূহের নামকরণের ইতিহাস Reviewed by sm sohage on August 01, 2018 Rating: 5

ঝালকাঠী এর উপজেলা সমূহের নামকরনের ইতিহাস

August 01, 2018
জেলার নামকরণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এ জেলার জেলে সম্প্রদায়ের ইতিহাস। মধ্যযুগ-পরবর্তী সময়ে সন্ধ্যা, সুগন্ধা, ধানসিঁড়ি আর বিষখালী নদীর তীরবর্তী এলাকায় জেলেরা বসতি স্থাপন করে। এর প্রাচীন নাম ছিল ‘মহারাজগঞ্জ’। মহারাজগঞ্জের ভূ-স্বামী শ্রী কৈলাশ চন্দ্র জমিদারি বৈঠক সম্পাদন করতেন এবং পরবর্তীতে তিনি এ স্থানটিতে এক গঞ্জ বা বাজার নির্মাণ করেন। এ গঞ্জে জেলেরা জালের কাঠি বিক্রি করত। এ জালের কাঠি থেকে পর্যায়ক্রমে ঝালকাঠি নামকরণ করা হয় বলে ধারণা করা হয়। জানা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে জেলেরা এখানে মাছ শিকারের জন্য আসত এবং যাযাবরের মতো সুগন্ধা নদীর তীরে বাস করত। এ অঞ্চলের জেলেদের পেশাগত পরিচিতিকে বলা হতো ‘ঝালো’। এরপর জেলেরা বন-জঙ্গল পরিষ্কার করে এখানে স্থায়ীভাবে বসতি গড়ে তোলে। এভাবেই জেলে থেকে ঝালো এবং জঙ্গল কেটে বসতি গড়ে তোলার কারণে কাটি শব্দের প্রচলন হয়ে ঝালকাটি শব্দের উৎপত্তি হয়।  পরবর্তীকালে ঝালকাটি রূপান্তরিত হয় ঝালকাঠিতে।
ঝালকাঠী জেলার উপজেলা সমুহঃ ঝালকাঠি সদর, কাঠালিয়া, নলছিটি, রাজাপুর।
কাঠালিয়া উপজেলা
বৃটিশ শাসন আমলে কাঠালিয়ায় বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠালের হাট বসতো। তাই এর নামকরণ করা হয় কাঠালিয়া। তবে নামকরণ নিয়ে ভিন্নমতও রয়েছে। অনেকে মনে করেন এ এলাকায় কাঠ সংগ্রহ করতে বিভিন্ন জায়গা হতে কাঠুরিয়ারারা আসত, কাঠুরিয়া হতে এ এলাকার নাম কাঠালিয়া হয়েছে। এছাড়া এ এলাকার বিভিন্ন খাল-বিল ও নদীতে প্রাপ্ত হলদে ডিমওয়ালা কাঠালি চিংড়ি হতে কাঠালিয়া উপজেলার নামকরন হয়েছে বলে অনেক প্রবিন ব্যক্তি মনে করেন।
নলছিটি উপজেলাঃ   
এর নামকরণ সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
রাজাপুর উপজেলা
গৌর সুলতানের আমলে চন্দ্রদ্বীপের দক্ষিন অঞ্চল দুই পাঠানসরদার শাসন করতেন।  তাদের একজনের নাম ছিল রেজা  খান, রেজা খান এ অঞ্চলের প্রধান ছিলেন।  ১৯২০ সালে রেজা খান এ অঞ্চলে প্রধান কার্যালয় স্থাপন করেন।তার নামানুসারে এ স্থানের  নাম রাখা হয় রয়েজা পুর।  পরবর্তীতে  রয়েজাপুর রাজাপুর নাম ধারন করে।

ঝালকাঠী এর উপজেলা সমূহের নামকরনের ইতিহাস ঝালকাঠী এর উপজেলা সমূহের নামকরনের ইতিহাস Reviewed by sm sohage on August 01, 2018 Rating: 5
Powered by Blogger.